পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিলম্ব হলেও শিক্ষক নিয়োগ হবে সুপারিশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত ৩২ হাজার শিক্ষকের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের পাশাপাশি প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগের পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তিকর কিছু এলে নিয়োগ বাতিল হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) বলা হয়েছে।

এনটিআরসিএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষক সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভেরিফিকেশনে সময় লাগছে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। একইসঙ্গে সুপারিশপত্র দেবে এনটিআরসিএ। শিগগির এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে।

গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদ রিট মামলায় অংশ নেয়াদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।

তবে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও গত বছরের ১৫ জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং ননএমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জন।

আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়নি এনটিআরসি।

এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, ৩৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও ভেরিফিকেশন ফরম জমা না দেয়ায় ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু হয়।