পুলিশ ছাড়া আসেন পিটিয়ে বুড়িগঙ্গার ঐ পাড়ে পাঠাবো- ইশরাক

আওয়ামীলীগকে এক হাত নিলেন বিএনপি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউটে আয়োজিত বাবা অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষীকী উপলক্ষে বিএনপির স্মরনসভায় বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, তিনি একজন গেরিলা যোদ্ধা হয়েও জীবনের শেষ বেলাতেও দেশে আসঅতে পারেন নি।সেইসাথে অন্যায়ভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করে মানুষের ওপর স্ট্রীম রাওলার চালাচ্ছেন উল্লখ করে হুংকার দেন সরকারকে।বলেন পুলিশ ছাড়া আসেন পিটিয়ে বুড়িগঙ্গার ঐ পারে পাঠাবো।

প্রয়োজনে বাংলাদেশের রাজপথে জীবন দিব তবুও কাপুরুষের মত মরব না। আমার বাবা ( মরহুম সাদেক হোসেন খোকা ) কোর্টের আদেশ নিয়ে সমস্ত মেডিকেল কাগজ পত্র জমা দিয়ে তিনি আমেরিকা গিয়েছেন। চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তার জীবনহানীর আশংকা ছিল বিদায় তিনি বাংলাদেশে আসেন নাই। উনার পাসপোর্ট যখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তখন বাংলাদেশ এ্যম্বাসি ও কনসূল্যাটে পাসর্পোটের আবেদন করেছেন, সেটির আজ পর্যন্ত আমরা হদিস পাই নাই। তবে উনি যখন মৃত্যুশয্যার একদম শেষ দিকে, তারা (এ্যম্বাসি) যখন জেনে দিয়েছে মৃত্যু অবধারীত তখন উনার লাশ পাঠানোর জন্য যে কাগজপত্র লাগে সেগুলা প্রস্তুত করা ছিল। যখন আমি হাই কনসূল্যাটে গেলাম ( আব্বা তখন শেষ নিশ্বাস নিচ্ছেন)। তখন তারা আমাকে বলে উনি তো এখনো আছেন আপনি পরদিন (শনিবার) দিন আসেন।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

আমার বাবা প্রায় সময় একটা কথা বলতেন, আমার প্রিয় অভিবাবক আব্দুস সালাম উনার সামনে বহুবার বলেছেন- আমার মনে হয় বাক্সে করে আমার বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। শেষমেশ সেটাই হয়েছে। বাক্সে করেই বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন।

সর্বওশষ কথাটি বলতে চাই। আমার বাবা সর্বশেষ আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, যে কথা আমি কিভাবে নিব মাঝেমাঝে ভাবি, আমাকে সর্বশেষ তিনি বলেছিলেন “রাজনীতিটাকে নষ্ট করোনা। ” একথা তিনি আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আমার রাজনীতির কথা বলেছেন নাকি সার্বিক রাজনীতির কথা বলেছেন তা আমি জানিনা। আমি ধরে নিতে চাই দুটোই বলেছেন। দেশের রাজনীতিটাও নষ্ট করোনা, নিজের রাজনীতিটাও নষ্ট করোনা। আমরা এ বাংলাদেশ দেখার জন্য দেশটা স্বাধীন করিনাই।

দেশ ও দেশনেত্রীর জন্য উনার কতটা ভালোবাসা ছিল সেটা আমি দেখেছি। আমিউনাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বলেছি আপনাকে দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতেছি। তখন তিনি আমাকে বললেন না আমি নেত্রীর সাথে কথা না বলে দেশে কিভাবে যাব।

উনার শেষ মূহূর্তের জীবনদশায় কিভাবে দেশের প্রতি, দেশনেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি, দলের নেতৃবৃন্দর প্রতি শ্রদ্ধ্যাশীল হতে হয়, যে শিক্ষা আমাকে দিয়ে গেছেন তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশর রাজপরিবারের নামে যারা চেপে বসে আছে, পুলিশ প্রসাশন ছেড়ে আসুন পিঠিয়ে বুড়িগঙ্গার ঐপারে পাঠাতে পারব আমরা। এই শক্তি ঐই ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগনের রয়েছে।

আমার বাবার মৃত্যর পর বিএনপি আমাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতা করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছেল। আমার প্রতিদন্ধী ছিল হেভিওয়েট একনেতা। তখন অনেকেই ও সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করেত, আপনি কি একটু নার্ভাস আছেন নাকি। ওমুক পরিবার তমুক পরিবার। তখন আমি বললাম আমার প্রতিদন্ধী যদি কোন রিক্সা্ওয়ালাও হয় আমি তাকে যে সম্মান দিতাম উনাকেও আমি সে সম্মান দিব একচুলও বেশি সম্মান দিব না।

এদেশে কোন রাজপরিবার নেই, কোন রাজত্ব্য নেই, এমনকি রাজত্ব করার জন্যও এদেশ স্বাধীন করা হয়নি।