পানির চাপে খোলা হলো তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা নদীর উপর চুংথাং বাঁধের ক্ষতির কারণে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বন্যা সীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবল চাপে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.২০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার)।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা।

এদিকে তিস্তার পানি সীমানা রেখার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার চর এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। চর সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কায় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

জানা গেছে, জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চলে এরইমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলেও পানিতে ডুবেছে বাড়িঘর ও রাস্তা ঘাট।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর ও গোকুণ্ডা এলাকার মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।