পাথালিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
সাভারে আশুলিয়া থানা ধীন পাথালিয়া ইউনিয়নের পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা একে অপরের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, মারধর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছেন। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছুরোছুরি ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় নৌকা ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীদের পাশাপাশি থাকা নির্বাচনী অফিসে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৩নং ওয়ার্ডে নৌকার পাঁচটি অফিসের মধ্য একটিতে কিছু চেয়ার ভাঙা অবস্থায় স্তুপ করে রাখা। পাশেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসে গিয়ে টেবিল-চেয়ারসহ সব কিছু ওলট-পালট ও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। কিছু দূরে নৌকার আরেকটি অফিসের পিছনের দিকে সামিয়ানার কিছু অংশ পোড়া। নৌকার কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুললেও প্রত্যক্ষদর্শীরা কাউকে আগুন দিতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মুরব্বিসহ অফিসে বসা আছিলাম। অন্ধকারের মইদ্দে হঠাৎ অনেক গুলা পোলাপান আইসা মারধর শুরু করছে। অনেকরে মাইরা খ্যাদাই দিছে। আর আমিসহ কয়েকজনরে অফিসের মধ্যে বাইরে থাইকা সাটার আটকায় রাখছিলো। পরে পুলিশ আইসা আমাগো বাইর করছে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘নৌকার লোকেরা নিজেগো অফিস ভাইঙ্গা মিথ্যা মিথ্যা আমাগো লোকজনের নাম দিতাছে। আমার অফিস ভাইঙ্গা সেই ভাঙা চেয়ার গুলা নিয়া ওদের অফিসে রাইখা নাটক সাজাইছে। মূলত আমার জনসমর্থন দেইখা ওরা এই খারাপ কাজ করে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি সাথে সাথে নির্বাচন কর্মকর্তা, থানায় জানাইছি।’

৩নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি নুরুল হক বলেন, ‘সন্ধ্যায় কারেন্ট চলে গেলে অফিসে আমিসহ কয়েকজন মুরব্বি বসা ছিলাম। কর্মীরা সবাই ভোট চাইতে গেছিলো। তখন ৪০-৫০ জন আনারসের পোলাপান আইসা চেয়ার দিয়া আচমকা বাড়ি শুরু করছে। কইছে, নৌকা এই দেশে থাকতে দিবো না। তখন চিল্লাচিল্লি শুইনা লোকজন আগায় আসলে ওরা পলাইছে। আমাদের ৪-৫জন আহত হইছে। যাওয়ার সময় পিছনে আমাদের আরেকটা নৌকার অফিসে আগুন দিয়া গেছে।’

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ দেওয়ান বলেন, ‘আমি প্রচারণায় ছিলাম। কর্মীদের কাছে শুনেছি, আনারসের লোকজন আমার প্রচারণার অফিসে হামলা করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে আমি কর্মীদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবো।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ওখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছে। চেয়ার ছুরোছুরি করছে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত করে সতর্ক করে এসেছি। যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালায়। তবে অগ্নিসংযোগের কোন আলামত আমরা পাইনি।