পাকুন্দিয়ায় টিসিবি পণ্য কিনতে গাদাগাদি প্রশাসনের নজরে তাকলেও মানছেনা ক্রেতারা

সৈয়দুর রহমান সৈয়দ- পাকুন্দিয়া, কিশোরগন্জ,প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু পণ্য কিনতে এসে নির্দিষ্ট ৩ ফুটের দূরত্ব মানছেন না ক্রেতারা। প্রয়োজনের তুলনায় পণ্য সরবরাহ অনেক কম ও নিদিষ্ট সময়ের অনেক পরে ট্রাক আসায় এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। যা করোনাভাইরাস সংক্রমণের (কোভিড-১৯) জন্য উপযুক্ত স্হান।

আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল)  কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।

টিসিবির পণ্যবিক্রেতা মো. শহিদ মিয়ার কাছে বিভিন্ন অনিয়মের কথা  জানতে চাইলে কোন কথা না বলেই পাশ কেটে চলে যায়।

নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্রেতাদের পণ্য কেনার বিষয়ে কথা হলে মো. সাইফুল ইসলাম  বলেন, সকাল ৮টার আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সাড়ে ১১ টার পর বিক্রি শুরু করছে। প্রথম দিকে প্রশাসনের লোক এসে লাইন ঠিক করে দিয়ে যায়। তারা চলে গেলে যে যার মতো করে লাইনে দাঁড়ায়। তখন আর ৩ ফিট দূরত্ব থাকে না, তখন তিন ফিটের মধ্যে ৬ জন  চলে আসে। নিজে থেকেই কয়েকজন বার বার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কতখানে পণ্য নিয়ে কে কার আগে বাড়ি যাবে সেই চিন্তা সবার মনে। তিনবার বললে একবার দূরে যায়। একটু পর আবার কাছে চলে আসে।

মহিলারা বলেন, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কিছু স্হানীয় লোক লাইন না ধরেই সামনে থেকে নিয়ে যায় পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। বৃহস্পতিবার মালামাল দিয়েছিল, সেদিনও একি অবস্থা ছিল। আমাদের এভাবে হয়রানি না করে নিদিষ্ট স্থান ঠিক করে দিলেই হয় বলে জানান তিনি।

সেখানে লাইনে দাঁড়ানো আরেক ক্রেতা সোহাগ আকন্দ কাছে দূরত্ব বজায় না রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি কলম ২৪ ডট কম কে বলেন, এত কিছু মেনে চলা যায় না। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। টিসিবিওতো ৯টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরুর কথা ছিলো। তারা তো নিয়ম মানতে পারছে না। তাহলে আমরাতো সাধারণ লোক। হ্যাঁ নিরাপত্তার জন্য দরকার কিন্তু কি করবো ভাই। এত ধৈর্য নেই। লোকজন বেশি সেজন্য চাইলেও দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।