পাইকগাছা ভূমি অফিস হবে জনবান্ধব কপিলমুনিতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম

তপন পাল কপিলমুনি থেকে: পাইকগাছা ভূমি অফিসের উদ্যোগে সোমবার কপিলমুনিতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলমের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বচ্ছতা আনতে  উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার সকালে কপিলমুনি ভূমি অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ, লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন, উপজেলা সার্ভেয়ার সাকিরুল ইসলাম,লিটু সহ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বৃন্দ। উল্লেখ্য পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড ভূমি) অফিসে যোগদানের পর থেকে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাল্টে দিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা ভূমি অফিসের চিত্র। দূর্নিতীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহনের মাধ্যমে ঘুষ দূর্নিতীমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন তিনি। পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা( ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম এসিল্যান্ড হিসাবে যোগদান করার পর থেকে এই দপ্তরের নানা কার্যক্রমে তদারকির মাধ্যমে জন ভোগান্তি লাঘব করেছেন। তিনি দূর্নিতীমুক্ত ভূমি অফিস ঘোষনা করে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কাজ করছেন। ভূমি অফিসের কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাবহার (ই-নামজারীতে) তিনি ব্যাপকভাবে জনগনকে উৎসাহিত করছেন। আগে এই দপ্তরে এসিল্যান্ড পদটি দীর্ঘ দিন শূন্য ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তখন নিজেই এসিল্যান্ড এর কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। অফিসে ভুমিসংক্রান্ত কাজে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান, সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনরকম টাকাপয়সা ঘুষ দেয়া ছাড়া আমরা দ্রুততর সময়ে সেবা পাচ্ছি। ই নাম জারির কারনে ডিজিটাল ভাবে আমরা সেবা পেয়ে উপকৃত। এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এসিল্যান্ড মুহাম্মদ আরাফাতুল  আলম জানান,পহেলা জুলাই ২০১৯ থেকে সারাদেশের মতো এই অফিসেও শতভাগ ই নামজারী কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখন আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নামজারী করা হয়না। একজন ব্যাক্তি এখানে না এসেও অনলাইনে কাঙ্খিত সেবা পেতে পারে। মানুষের সময় এবং অর্থ যাতে সাশ্রয় হয় তার জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে ই নামজারী চালু করেছে। আমরাও সেই লক্ষ্যপূরনে কাজ করে যাচ্ছি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মকান্ডের একটা স্বচ্ছ ও জবাবদিহীতার জায়গা তৈরী করবো।