পাইকগাছায় অপহৃত যুবক কালীগঞ্জে উদ্ধার, আটক-১

মোঃ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় ভাটার টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে ইকবাল সরদার (২৭) নামে এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থেকে উজ্জ্বল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার ও পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে।

থানা পুলিশ মামলার উদ্বৃতি দিয়ে জানায়, গত ১৫ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে পাইকগাছা-তালা সীমান্তের কাশিমনগর এলাকা থেকে উপজেলার গড়ইখালীর উত্তর আমিরপুর গ্রামের শাহাজান সরদারের ছেলে ইকবাল সরদার অপহরণ হয়। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের মোল্ল্যার হাট এলাকার ইয়াসিন (৩৫) ও কয়রা উপজেলার হায়াতখালীর ফারুক গাজী (৩২) সহ কয়েকজন ঐদিন তাকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে করে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় ইকবালের পিতা শাহাজান সরদার বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় এজাহার দিলে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আ: আলীম মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্ত ইয়াসিনের শ্যালক উজ্জ্বল নামে এক যুবককে আটক করে পাইকগাছা থানায় নেয়। এদিকে উজ্জ্বলকে আটকের পর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইয়াসিন অপহৃত ইকবলের কাছ থেকে কয়েকটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বুধবার বিকেলে কালীগঞ্জ থানায় পুলিশে সোর্পদ করে।

অপহরণের শিকার ইকবালের পিতা শাহাজান সরদার বলেন, ঘটনার দিন তার ছেলে আমিরপুরের সালাম সরদারের ছেলে জাবেদের সাথে মালামাল কিনতে কপিলমুনিতে যায়। কিন্তু দিনের শেষে ছেলে বাড়িতে না ফেরায় সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে ব্যাপক খোঁজা-খুঁজি করেন। পরে জাবেদ ও রাজ্জাকের মাধ্যমে ছেলে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন। তিনি আরো জানান, ইকবালকে না পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ১৬ আগস্ট বিকেলে তার মোবাইলে রিং হলে তা রিসিভ করে ইয়াসিন। এসময় ইকবালকে পেতে প্রথমত ১ লাখ ১০ হাজার ও পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় শাহাজান সরদার ১৭ আগস্ট বাদী হয়ে ইয়াসিন ফারুক গাজীসহ ৪/৫ জনের নামে পাইকগাছা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।

এব্যাপারে পাইকগাছার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম জানান, ইকবালকে অপহরণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল নামে এক যুবককে আটক করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ভিকটিম ইকবালকে উদ্ধার করে পাইকগাছা থানা ও তার পরিবারকে অবহিত করে। ধারণা করা হচ্ছে, ইট ভাটার টাকা লেন-দেনকে কেন্দ্র করে ইকবালকে কৌশলে তুলে নেওয়া হতে পারে।