পরিত্যাক্ত হিন্দু সম্পত্তিতে অসহায় গরীবদের মাঝে এতিমখানা গড়ে উঠলেও ভূমিদস্যু শাজাহান ও এসহাক গংদের গ্রাসে বিলুপ্ত হবে

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (বাবু):: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাস্থীত পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ীর প্রায় ৬শত এক ভূজিম স্থানীয় শাজাহান ও এসহাক মোল্লাদের গ্রামে এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হলেও ভূল তথ্য প্রদানে নিজেদের সম্পত্তি বলে দখল করে এবং বিক্রি করে মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকা।  চৌধুরী বাড়ী এলাকাটি চৌধুরী হিন্দুগন বিশাল বিশাল ৩টি ২য় তলা ইমারত নির্মানে বসবাসরত ছিলেন ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে এই সম্পত্তি। রাজাকারদের কবল হইতে প্রাণ বাচাঁতে ভারতে চলে গেলে অত্র সম্পত্তিগুলো সরকারীভাবে লিপি সহ হিন্দু সম্পত্তিতে রেকর্ডভূক্ত করা হয়। চৌধুরীরা সম্পত্তিগুলো ফেলে চলে গেলে সেই ইমারতগুলোতে যুদ্ধ বিধস্ত অসহায়দের এতিমখানা নামে বসবাস শুরু হয়। সে জন্য অনেকেই ঐ বাড়ীটা এতিমখানা বললে এক নামেই পরিচিত হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী এলাকার চালাক প্রকৃতির লোক হিসাবে আব্দুস সোবাহান মোল্লা গং রা ঐ বাড়ীতে জোর দখল করে ইমারতে বসবাস শুরু করে এবং বিগত এস.এ ও আর.এস রেকর্ডে নিজ নামে রেকর্ড লিপি করে। আব্দুস ছোবাহান মোল্লা মৃত্যুবরণ করলে নিজ পুত্র শাজাহান ও এসাহাক মোল্লা দুই সহোদর ভাই সে এতিমখানাটি নিজেদের দাবী করে এতিমদের বের করে দিয়ে ইমারতগুলো ভেঙ্গে বিক্রি করে লোহার কাঠ, পাথ দিয়ে ঢালাই করা ইট, লোহা বিশাল অংকের টাকায় বিক্রি করে। এই সাথে সাথে বিশাল আয়তনের সম্পত্তিতে দখল করে নিয়ে বেঁচা বিক্রি শুরু করে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যানদেরও তাতে ভাগ দিয়ে দেয়। পরিত্যাক্ত হিন্দু অর্পিত সম্পত্তিগুলো সরকার “খ” ও “ক” তপছিলে বিভক্ত করে নামজারী ও জমাভাগের কোন আইনগত নীতিমালা প্রণয়নের আগেই ২০০৭ সালের দিকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাদের বিশাল অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে দূর্নীতি করে অত্র সম্পত্তি নিজের বোনদের বাদ দিয়ে ওয়ারীশান সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের দুই ভাই শাজাহান ও এসাহাকের নামে নামজারী ও জমাভাগ করিয়ে অবাধে বেচা বিক্রি করে আজ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, গত বি.এন.পি ও জামাতের আমলে শাজাহান মোল্লা নেতা থাকলেও পরে মহাজোটের আমলে জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে এখনও সমাজে মানুষের ভূমি গ্রাসে লিপ্ত আছে। এলাকার স্থানীয় জনগন এদের বিচার কামনা করছে।