পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের তহসিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে খাল লিজ দেয়া ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ

তুহিন শরীফ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ-অঞ্চল রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের সহকারী ভুমি তহসিলদার মনির হোসেনের বিরুদ্ধে খাল লিজ ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর ১ নং ওয়ার্ডের জনসাধারন তহসিলদার মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পটুয়াখালী মোঃ আসাদুজ্জামান এর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।এছাড়াও তহসিলদার মনিরের অবৈধ ভাবে টাকার লেনদেন, খাল লিজ দেয়ায় শামীম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে যা বর্তমানে চলমান। যার সি,আর মামলা নং- ২৩৮।

গত (২২-সেপ্টেম্বর-২১ ইং) তারিখ বেলা ১১ টার সময় মাদারবুনিয়ার ডাল হইতে শাপলাখালীর খালের তীরবর্তীতে দাড়ীয়ে জনসাধারনের ব্যবহারের সুবিধার্থে উন্মুক্ত করে দিয়ে তহসিলদার মনির হোসেনকে দ্রুত অপসারনের দাবিতে এলাকাবাসী ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের ১ নং ওয়ার্ড শাপলাখালী খালের উপর নির্মিত ব্রীজে প্রায় ২’শতাধিক নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ১ নং ওয়ার্ডের জনগনের পক্ষে আব্দুল মান্নান মৃধা, সাহেব আলী মল্লিক, লোকমান সিকদার, শামীম ও শাহিদা বেগম সহ আরও অনেকে এসময় বক্তব্য রাখেন । বক্তব্য আরো বলা হয়, ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদার মনির হোসেনের দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতিতে অতিষ্ঠ বাহেরচর সহ গোটা রাঙ্গাবালী উপজেলাবাসী। তারা বলেন ভুমি অফিসে বসে বে-আইনী ভাবে খাল ও চান্দিনা ভিটির সরকারি খাস জমিতে চলছে অবৈধ পাকা বিল্ডিং নির্মানের হিড়িক চলছে।

খোজনিয়ে জানা যায়, এসব স্থায়ী পাকা ভবন নির্মান হচ্ছে টাকার বিনিময়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তিরা বলেন,এখানে যতগুলো বিল্ডিং দেখছেন সবগুলো সরকারি খাস জমির ওপর তোলা হয়েছে আর এসব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাজশে হচ্ছে বলে জানান তারা।

উক্ত ঘটনার ব্যপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী তহসিলদার মনির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া ঘটনার তথ্য দিয়েছে।আমি সরকারি কর্মচারী মাত্র।খাস জমির খাল উম্মুক্তর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,খাস আদায়ের জন্য মন্জু মল্লিক’কে চিঠি ইসু করা হয়েছে,খাল থেকে যে আয় হবে তা সরকারি কোশাগারে জমা হবে। আমি মন্জুকে কোন লিজ দেইনাই এবং কোন প্রকার টাকার লেনদেন করিনি । এসময় তাকে আরো প্রশ্ন করা হয়,আপনার চাকুরীর স্থান চরমোন্তাজ রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আপনি কেন,উত্তরে তিনি বলেন, আমি দুই ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। অফিসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেখ মুজিবুর রহমান ছবি থাকলেও নেই প্রধান মন্ত্রীর ছবি,এমনকি অফিস চলাকালীন সময় নেই ন্যাশনাল জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি কেন,এসব প্রশ্নের কোন সদ উত্তর দিতে পারেনী তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করতে খালের লিজকৃত ব্যক্তি মন্জু মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তহসিলদার মনির হোসেনের কাছ থেকে ১বছরের জন্য ৩২ হাজার টাকায় লিজ নিছি,আমার কাছে সঠীক কাগজপত্র আছে, এসময় সংবাদকর্মীরা জানতে চায় ভূমি অফিসের পেপারসে ইউ,এন,ওর সাক্ষর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমার কাগজপত্রে কোন ভূল নাই,আমি খাল লিজ আনছি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছি আমি গরীব মানুষ এই বলে তিনি কেটে পড়েন।

এব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মো, মামুন খানের ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারে,(০১৭১২৭০০১১২) এ একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এনিয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, মাশফাকুর রহমানের সাথে কথা বলতে তার অফিস চলাকালীন সময় গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।এমনকি উপজেলার বাসভবনের ৫তলায় গিয়ে ঘন্টাবেপি দাড়িয়ে থেকেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া হয়নি।