পটুয়াখালীর বাউফলে ভাসমান ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায়, কারাদণ্ড তিন জন

মোঃ তুহিন শরীফ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভাসমান ড্রেজার দিয়ে সরকারী খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে তিনজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন বাউফলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমান।

সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের ছোট ভাই হাসিব হাওলাদার দীর্ঘ দিন ধরে বগা ইউনিয়নে খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জলাশয় ভড়াট করে আসছিলেন। মঙ্গলবার বগা ইউনিয়নের রাজনগড় গ্রামের বানজোড়া খালে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জলাশয় ভরাট করতে ছিলেন হাসিব। পড়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে সত্যতা পায় বাউফল সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়জিদুর রহমান। এরপর বগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগীতায় বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত তিনজনকে আটক করে। পড়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে শাহিন চৌকিদার(৩০) মিরাজ হাওলাদার(৩৫) ও রিদয়(২৮) নামের তিনজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
স্থানীয় আবদুল মালেক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত তিনজনকে কারাদন্ড দিলেও ড্রেজারটি ধ্বংস কিংবা জব্দ না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে হাসিব এই ড্রেজারটি মালিক হওয়ার কারণে প্রশাসন ড্রেজারটি জব্দ করেনি।

ড্রেজারের মালিক দাবী করে হাসিব হাওলাদার বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত নিচু জমি ভড়াট করতে ছিলাম।
অভিযোগ অস্বিকার করে সহকারী কমিশানার (ভূমি) মো. বায়জেদুর রহমান বলেন, আমরা বগা ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বে দিয়ে আসছি। তারা স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রেখেছেন। আটক তিনজনকে বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিম্মাদার খোরশেদ নামের ওই ব্যক্তি বগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কেন্টিনের রাধুনির স্বামী। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, জব্দকৃত ড্রেজারটি স্থানীয় গণ্যমান্য অথবা পুলিশের জিম্মায় রাখতে হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন তিনজনকে কারাদন্ডের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ড্রেজারটি পুলিশের জিম্মায় নাই।