নোয়াখালী পৌরসভা আসন্ন নির্বাচনে পৌরবাসী এবার ত্যাগী নেতা লুৎফুল হায়দার লেনিনকে “মেয়র” হিসাবে দেখতে চায়

বি.চৌধুরী তুহিন, নোয়াখালীঃ নোয়াখালী পৌরসভা আসন্ন নির্বাচনে পৌরবাসী এবার ত্যাগী নেতা লুৎফুল হায়দার লেনিনকে মেয়র হিসাবে দেখতে চায়। লুৎফুল হায়দার লেনিন, পিতা মোহাম্মদ আলী হায়দার মহিলা কলেজ রোড়, লক্ষীনারায়ণপুর মাইজদীকোট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। সরকারী চাকুরে পিতার সন্তান হিসাবে স্কুল জীবন শুরু হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া । ১৯৮৮ সালে ১০ম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে স্কুল ছাত্রলীগ সভাপতি, ১৯৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাতকানিয়া সরকারী কলেজে অধ্যায়ন রত অবস্থায় বাংলাদশে ছাত্রলীগ সহ-সাধারণ সম্পদাক কলেজ শাখার কর্মী হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত হন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রতিহিঃসা স্বীকার হয়ে ১০ এর অধিক রাজনৈতিক মামলা জড়িয়ে পড়েন এবং ৩মাস কারাভোগ করে। ১৯৯১-৯৩ সেশনে নোয়াখালী সরকারী কলেজ ছাত্রাব্যস্থায় ১৯৯১-৯৫ ও ২০০১-০৬ পর্যন্ত বি.এন.পি জামাতের শাসনামলে ২০ এর অধিক রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হন এবং কয়েকবার কারাভোগ করেন। কখনো মুজিব আদর্শ থেকে একবিন্দু ও সরে দাঁড়ায়নি। তৃনমূলের নেতা কর্মীও সাধারণ জনগনের অনুরোধে নিজ শহরে জনসেবার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে নোয়াখালী পৌরসভার “মেয়র”পদেপ্রার্থী হতে যাচ্ছেন। অত্যন্ত বিনয়ী হাস্যোজ্বল, সময়ের সাহসী সন্তান দুনীতিমুক্ত ও জনবান্ধব পৌরসভা বিনির্মানে স্বপ্নের কারিগর পৌরবাসী এবার লুৎফুল হায়দার লেনিনকে “মেয়র” হিসেবে দেখতে চায়।
এক অন্ধ যুবককে মানবিকতার পরশ বুলিয়ে দিলেন ওসি কোম্পানিগঞ্জ

বি.চৌধুরী তুহিন, নিজস্ব প্রতিনিধি নোয়াখালী:- নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি অভিযোগ নিয়ে আসা অন্ধ যুবক নূর ইসলামকে (৩০) মানবিকতার পরশ বুলিয়ে দিলেন।ওসির এমন মানবিক ভূমিকায় প্রশংসা ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অভিযোগ নিয়ে আসা অন্ধ যুবক উপজেলার চর পার্বতী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিন ছেলে। অভিযোগকারী নূর ইসলাম জানান, সে অন্ধ বলে পরিবারের সদস্য প্রায় তাকে মারধর করে। শুক্রবার দিন সকালের দিকে তাকে মারধর করে তার পরনের জামা রেখে দেয়। এ জন্য দুপুরের দিকে অভিযোগ করতে সাথে আরেক যুবককে নিয়ে থানায় আসে।থানা সূত্রে জানা যায় গতকাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ওসি থানা থেকে বাহির হওয়ার পথে তার সাথে অন্ধ এক যুবকের দেখা হয়। এ সময় ওসি অন্ধ যুবকের অভিযোগ দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ সহকারে শুনেন। অভিযোগ শুনে তিনি মাস্ক বিহীন অন্ধ যুবকটিকে মুখে মাস্ক পরিয়ে নিজে সাথে করে ওসির কক্ষে নিয়েআসেন। পরে তিনি তাৎক্ষণিক তার সমস্যা সমাধানে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরে তার জন্য নতুন জামা এবং নাশতার ব্যবস্থা করেন ওসি। ভবিষ্যতেও যে কোন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে।কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান বলেন, ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। আইনের দৃষ্টিতে ধনী-গরীব সকলেই সমান। স্যুট পরিহিত প্রভাবশালী লোকটি যেমন সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে, লুঙ্গি পরিহিত অসহায় গরীব লোকটিও একই সেবা পাওয়ার দাবিদার।