নোয়াখালীতে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নোয়াখালী প্রতিনিধি  :
নোয়াখালী জেলা শহরের দত্তেরহাট এলাকায় রুচিকা বেকারী, কামাল এন্টারপ্রাইজ ও হোসেন বেকারীকে ৭৮হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আদালত পরিচালনা করেন মো: রোকনুজ্জামান খান , এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নোয়াখালী। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন- দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৫ টায় জেলা শহরের দত্তেরহাট এলাকায় রুচিকা বেকারীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১৩জন শিশু ও কিশোরকে বেকারীতে কর্মরত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ময়দা মিক্সার ও বেকারী পণ্য সরানো এবং আগুনের চুলায় কাজ করছিলেন। সকলের বয়স ১১-১৭ বছর। তারা তিন হাজার টাকা বেতনে প্রতি মাসের জন্য কাজ করছে। একই সময়ে খোলা বেকারী পণ্যগুলো অপরিচ্ছন্ন মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসবের ভিত্তিতে রুচিকা বেকারীকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩৪ ধারার অপরাধে ২৮৪ ধারায় ৫হাজার (সর্বোচ্চ) টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ৪৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কৃষি উপকরণ ও পণ্যের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কামাল এন্টারপ্রাইজে (সার-বিষ ডিলার) অভিযান পরিচালনা করার সময় দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কৃষি পণ্য বীজ ও বিষ পাওয়া যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব পণ্য জব্দ করা হয় ও কামাল এন্টারপ্রাইজকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হোসেন বেকারীতে অভিযান চালিয়ে পণ্যের গায়ে উৎপাদন, প্যাকেজিং ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেকারী পণ্য উৎপাদনের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৮হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৭৮হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো  হয় জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কারও কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য থাকলে তা জেলা প্রশাসন নোয়াখালীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।