নীলফামারীর সৈয়দপুরে মধ্যরাতে আ.লীগ জাতীয় পার্টির সংঘর্ষ, আহত ২৫

মনিরুজ্জামান লেবু, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনের প্রচারকালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহরের গোলাহাট দুই নম্বর আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ক্যাম্পের কাছে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়াও ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

জানা যায়, সৈয়দপুর পৌর এলাকার গোলাহাট ২ নম্বর উর্দুভাষী ক্যাম্পে নির্বাচনী প্রচারণা চালায় জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। প্রচারণা শেষে প্রধান নির্বাচনী অফিসে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাসার সামনে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় জাতীয় পার্টির ২২ জন ও আওয়ামী লীগের ৩ জন আহত হয়। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি সমর্থকদের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম জানান, পথসভা শেষে অফিসে ফেরার সময়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। মোট ২২ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন।

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকছেদুল মোমিন বলেন, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীসহ নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরীর বাসায় হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ওই নেতার বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় ৩ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। একজন রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। 

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান,  এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা করেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলগুলো পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রথমবারের মতো ইভিএম এ অনুুুষ্ঠিত হবে।