নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জনজীবন স্থবির।

রাশেদুজ্জামান সুমন জেলা প্রতিনিধি :

নীলফামারী জলঢাকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন স্হবির হয়ে পড়েছে। সূর্য বিহীন পৃথিবী সির সির বাতাসে জুবুথুবু অবস্থা হয়েছে মানুষ পশু পাখি সবার। ঠান্ডা তারাতে খড়কুঠো, পুরোনো কাপড় জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে সাধারণ মানুষেরা। গরু ছাগলের গায়ে জড়িয়ে দিচ্ছে চট বা মোটা কাপড়। ঘর থেকে বের হতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

গেলো বছরের তুলনায় এবার একটু দেরিতে শীতের দেখা মিললেও পৌষের শেষে ও মাঘের শুরুতে তা একবারে জেকে বসেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। এজন্য শহর বন্ধরে লোকজন খুব একটা চোখে পড়েছে না। মোটা কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাতের বেলায় জনশূণ‍্য হয়ে পড়ছে হাট বাজার। ভ‍্যান চালক মামিনুর রহমান জানান ঠান্ডাতে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কিস্তি দেব কিভাবে আর খাবোই বা কি। অন্যদিকে হঠাৎ করে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীত কালিন রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অসহায় বৃদ্ধরা এ কনকনে তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যান মেম্বারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে পাচ্ছে না শীত নীবারনের জন্য একটি কম্বল।

কৈমারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সত্তোর বছর বয়সি বিধবা সাহিদা জানান “ঠান্ডায় মরি যাওছো তাও কাহো একান মোক কম্বল নাদে। ভোট নিবার সময় আসি কয় মোক দোয়া করিস ভোটটাও দেইস। এলা কাহো মোর খোঁজ খবর করে না”। একইভাবে অভিযোগ করে প্রতিবেশি বিধবা জাহেদা বেগম (৭৫) বলেন যায় চলির পায় ওমরা তাকে কম্বল দেয়। হামা চৌদ্দ বার ঘুড়িয়াও পাইনা। এরকম হাজারো অভিযোগ উপজেলার প্রতিটি অসহায় মানুষের।

শীত বস্ত্র হওতোবা তাদের জন্য তৈরী হয়নি। এভাবেই কোনো রকমে কেটে যাবে তাদের প্রতিটি শীত। তবুও গায়ে চড়ানো হবে না তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সেই রঙ্গিন কম্বল। উপজেলা পঃপঃপঃ কর্মকর্তা রেজাউনুল কবীর জানান হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সর্দি জ্বর কাশিসহ ইত্যাদি রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের মেঝে সহ রোগী ভরে গেছে। এখন পযর্ন্ত ঠান্ডায় মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।