নীলফামারীতে দুটি ইউপি নির্বাচনে একটিতে আওয়ামীলীগ ও অপরটিতে বিদ্রোহীর জয়

মনিরুজ্জামান লেবু নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর দুটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামীলীগ এবং অপরটিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে।

এর মধ্যে কুন্দপুকুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং ইটাখোলা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিকে হেদায়েত আলী শাহ ফকির জয়লাভ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আফতাব উজ জামান।

কুন্দপুকুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকে ৭১২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা চশমা প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫০৯৬ টি।

এছাড়া ইটাখোলা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রাক্তন চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ আনারস প্রতিকে ৯০৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী অাওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৬২৯৩ টি।

রিটার্নিং অফিসার আফতাব উজ জামান বলেন, কুন্দপুকুর ইউনিয়নে ২৩৯২২ ভোটের মধ্যে ২০৩৭০টি এবং ইটাখোলা ইউনিয়নে ২২৩৭২ ভোটের মধ্যে ১৯৪১৪টি ভোট প্রয়োগ করেছেন ভোটারগণ।এর মধ্যে ইটাখোলায় ৪৫৮টি এবং কুন্দপুকুরে ৪২৩টি ভোট বাতিল হয়।

কুন্দপুকুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী আজগর আলী আনারস প্রতিকে ২৬৮২, মোহাম্মদ দুলাল হাতপাখা প্রতিকে ৪১০ ও বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান আলী চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতিকে ৪৬৪০ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া ইটাখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী জাকের পার্টির আবু সাঈদ গোলাপ ফুল প্রতিকে ১৬৯, জাহাঙ্গীর আলম নান্টু মোটর সাইকেল প্রতিকে ১৫৭৮, মশিউর রহমান শাহ ফকির চশমা প্রতিকে ২২৭ ও সুজিত কুমার চৌধুরী ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ১৬২৪ ভোট।