নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত পরিবারদের চাকুরীর আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী

মনিরুজ্জামান লেবু নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদরের মনসাপাড়া বউবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত তিন শিশুর পিতা রেজওয়ান হোসেন ও গেট ম্যান শামীম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া আকতারকে চাকুরীর আশ্বাস দিলেন রেলপথ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।

শনিবার দুপুরে নীলফামারী সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের মনসাপাড়া বউবাজারে পৌঁছে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ আশ্বাস দেন মন্ত্রী। সেখানে এক শোক সভায় মন্ত্রী বলেন, এঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রেল মন্ত্রনালয়ের আমরা সবাই শোকাহত। এখানে আমার বলার ভাষা নেই। যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবার নয়। তাদের ফিরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। তাদের পরিবারকে আমি সমবেদনা ছাড়া কিছুই দিতে পারবো না। তারা যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এটাই আশা করবো।

মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর পদ্মাসেতুতে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে যমুনা নদীর উপরে ডুয়েলগেজ বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রেল সেতুও চালু হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নতুন সড়ক পথ নির্মাণ করছে।

এতে অনেক স্থানে লেভেল ক্রসিং এ প্রতিবন্ধক ও গেটম্যান নেই তবে যেসব নতুন রেলপথ হচ্ছে সেখানে আন্ডারপাস ও ওভারপাস হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে যে এলাকায় ক্রসিং দরকার সেগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যাতে করে এ বিষয়ে কথা বলবো। তাছাড়া লেভেল ক্রসিং ও ব্রিজ নির্মাণসহ রেলের ধারে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে বসবাস যোগ্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় নিহত তিন সন্তান হারানো পিতা রিক্সাচালক রেজওয়ান হোসেনকে নগদ ৫০ হাজার এবং শামীম হোসেনের স্ত্রীকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন মন্ত্রী তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে। এ ছাড়া ওই শোক সভায় সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের পক্ষে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম নিহত তিন সন্তানের পিতাকে ২৫ হাজার ও শামীম হোসেনের স্ত্রীকে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি ঢাকায় ফিরে নিহত পরিবারদের আরও কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী(পাকশী) আব্দুর রহিম, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ইএন (পার্বতীপুর) আবু জাফর মোঃ রাকিব হাসান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মুক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার সহ অারও অনেকে।

উল্লেখ্য গত ৮ ডিসেম্বর ট্রেন দূর্ঘটনায় রেজওয়ার মেয়ে লিমা আকতার, শিমু আকতার ও ছেলে মোমিনুর রহমান মারা যায় এবং তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে অাসা শামীম হোসেনেরও মৃত্যু হয়।