নিজের গান না থাকলে টিকে থাকা যায় না: আঁখি

ডেস্ক : আঁখি আলমগীর। সঙ্গীতশিল্পী। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’-এ সঙ্গীত পরিবেশন করে দেশে ফিরেছেন। চলতি মাসে তার দুটি নতুন গান প্রকাশের কথা রয়েছে। নতুন গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

যোধপুর পার্ক উৎসবে গান পরিবেশনের অভিজ্ঞতা কেমন?

গত বছরও এ উৎসবে গান করেছিলাম। তবে উৎসবে এবারের শিল্পীদের তালিকা আরও সমৃদ্ধ ছিল। উৎসবে আশা ভোঁসলে, শ্রেয়া ঘোষালের মতো শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। দেশের বাইরে কনসার্টে গান গাইতে পারা সব সময় অনেক বেশি সম্মানের। সেখানে গান গেয়ে শ্রোতাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। পাশাপাশি আমাকে তারা সংবর্ধনাও দিয়েছে।

টিভিতে এখন আপনাকে তেমন গান পরিবেশন করতে দেখা যায় না…

আসলে বাজেট সংকটের কারণে টিভিতে আমাকে তেমন একটা দেখা যায় না। টিভিতে শুধু বিশেষ দিবসগুলোতে গানের জন্য শিল্পীদের ভালো সম্মানী দেওয়া হয়। তাই বিশেষ দিবস ছাড়া টিভিতে গান করি না।

আঁখী আলমগীর

প্লেব্যাকের কী খবর?

সিনেমার গানে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এগুলো চলতি বছরে প্রকাশ হবে। সিনেমার গানে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি পছন্দ করি।

এখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?

মিউজিক ইন্ড্রাস্টি মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছে বলতে হয়। এখন অনেক কোম্পানি নতুন গান প্রকাশে এগিয়ে আসছে। আবার অনেকেই নিজের গান প্রকাশ করছেন। অ্যালবামের সেই যুগ নেই, এটা ঠিক। তবে সময়ের সঙ্গেই তো চলতে হবে। তাই সিঙ্গেল গানের প্রকাশটাও মেনে নিতে হবে। এখন অবশ্য বেশিরভাগ গান মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হয়। ইউটিউবের কথা মাথায় রেখে সবাই এ পথ বেছে নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে অনেকের অভিযোগ থাকলেও আমি দোষের কিছু দেখি না। ডিজিটালি গান প্রকাশে অভ্যস্ত হলে ইন্ডাস্ট্রি আরও ভালোর দিকে যাবে।

তরুণ প্রজন্ম কেমন করছে বলে মনে হয়?

তরুণ প্রজন্ম অনেক ভালো করছে। এ প্রজন্মের অনেকের গানই আমার ভালো লাগে। তবে টিকে থাকতে হলে সাধনা করতেই হবে। মৌলিক গানের ওপর আরও জোর দিতে হবে। কারণ, নিজের গান না থাকলে টিকে থাকা যায় না। জোর দিতে হবে ভালো কথা ও সুরের দিকে।