নান্দাইলে গরু চুরির অভিযোগে আটক ২

এমদাদুল হক, ময়মনসিংহ (নান্দাইল) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলার,নান্দাইল উপজেলায় চন্ডিপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামে গরু-ছাগল চুরির অভিযোগে দুইজন আটক করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (২৫ জুন) ভোরে গরু ও ছাগল চোরের অপরাধে একজন যুবক ও আরেকজন মধ্যবয়সী ব্যাক্তি জনতার হাতে আটক হয়েছে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- একই ইউনিয়নের বাশঁহাটি গ্রামের মৃত আ: আলী পিয়েলের পুত্র বদলুল (৫০) ও খামারগাঁও গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র রায়হান মিয়া (৩০)।স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ ও গ্রাম পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় জনতার হাত থেকে একটি বকনা গরু ও একটি রাম ছাগল সহ অভিযুক্ত দুইজনকে ইউনিয়ন পরিষদের ঘরের ভিতর আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টি নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে সহ গরু-ছাগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তবে স্থানীয়রা জুম্মাহ নামাজবাদ উক্ত চুরির ঘটনাটি দরবারের মাধ্যমে ফায়সালা করতে চেষ্টা করেছিলেন বলে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।এদিকে বকনা গরু ও ছাগলের মালিক মো. আব্দুল মান্নান মনু মিয়া ও তার পুত্র সজিব জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সাড়ে তিনটার দিকে গোয়ালঘরে গিয়ে গরু-ছাগল দেখতে না পেয়ে তারা তাৎক্ষনিকভাবে সন্দেহভাজন চোর হিসাবে রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কথা অনুযায়ী পাশের গ্রামের বদলুলের বাড়ি থেকে গরু-ছাগল উদ্ধার করা হয় এবং বদলুলকেও আটক করা হয়।

উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে গত একসপ্তাহ পূর্বে একই ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর চোরে যাওয়া ৩টি গরুর সন্ধান নিতে এসে তিনি জানান, এসমস্ত চোরদের উপযুক্ত বিচার না হলে দিন দিন চোরের সংখ্যা বেড়েই চলবে আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে গৃহস্থ তথা গবাদী পশুর মালিক।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, রায়হান (অভিযুক্ত চোর) একটু হাবাগোবা। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে একটু তদন্ত করার জন্যই পরিষদে রেখেছিলাম।

জনপ্রতিনিধি হিসাবে এইটুকু দায়িত্ব কি আমার নেই? নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, দুইজন অভিযুক্ত সহ গরু ও ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।