নাটোর প্রতিনিধি
গুরুদাসপুরে সুদের টাকার জন্য ছইরুদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ ইটভাটা শ্রমিককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে তাকে ৩ দিন আটকে রাখা হয়। ছইরুদ্দিন পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে।
রোববার সকালে বিয়াঘাট ইউনিয়নের জ্ঞানদানগর গ্রামের আমিন মণ্ডলের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তারিকুল ও তার শ্বশুর আমিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছইরুদ্দিন পার্শ্ববর্তী বামনকোলা গ্রামের তারিকুলের কাছ থেকে মাসিক শতকরা ১০ টাকা সুদে সুদে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। সুদ-আসলে ওই ৩০ হাজার টাকায় পাওনা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার টাকা। টাকার জন্য ছইরুদ্দিনকে চাপ দিতে থাকেন তারিকুল। টাকা দিতে না পেরে ছইরুদ্দিন পালিয়ে শ্বশুর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নাদো সৈয়দপুরে চলে যান। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে সাইদুল, সুরুজ, আসাদুলসহ অন্যদের সহযোগিতায় ছইরুদ্দিনকে তুলে নেন তারিকুল। সেই সঙ্গে চাঁচকৈড় গাড়িষাপাড়া থেকে ছইরুদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামকেও তুলে নেয়া হয়। রাত ১টায় বাাব-ছেলেকে নৌকায় তুলে তারিকুলের শ্বশুর বাড়ি জ্ঞানদানগরে নিয়ে যান। তাদেরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে শেষ সম্বল ভিটেবাড়ি রেজিস্ট্রি করে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছইরুদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে তার ছেলে সাইফুলকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়।