নাটোরে প্রতিবন্ধী মিঠুন জনপ্রতিনিধি হতে চান

সালাহ উদ্দিন, নাটোর: উচ্চতায় ৩ ফুট দুটি হাতই কর্ম অক্ষম। ছোট বেলায় মাকে হারিয়েও দমে যাননি মিঠুন আলী। অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে বিএ পাশ করেছন। শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষটি জনসেবা করতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গামে দরিদ্র পরিবারে জন্ম মিঠুন আলীর জন্ম। জীবনের শুরু থেকে ২ হাত কব্জির ওপর থেকে বাঁকা । বাবা আরজেদ আলী পেশায় একজন কৃষক । ৮ বছর বয়সে মিঠুনের মা ১৯৯৮ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । বাবা ২য় বিয়ে করলে সৎ মায়ের সাথে থাকেন ।
মিঠুন আলী জানান ২০১১ সালে এসএসসি ,২০১৪ সালে এইচএসসি ও ২০১৮ সালে রাজশাহীর বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি। প্রতিবন্ধীতা ও অর্থনৈতিক সংকট দুটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে চরম বাধা । তবুও সুখে দুখে সব সময় গ্রামের মানুষের পাশে থেকেছি। এই মনোভাব থেকেই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নংদুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী হয়েছি।
৪ ভাই-বোনের মধ্যে মিঠুন সবার বড় । সৎ মা জাহেরা বেগম জানান , মিঠুন জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। সে বিএ পাস করেছে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় সে। তার একটা চাকরি হলে চিন্তামুক্ত হতে পারতাম । এখন মেম্বার পদে নির্বাচন করছে মিঠুন। আল্লাহর রহমতে এলাকাবাসী ভোট দিয়ে তাকে জয়ী করবে।
রাধাকান্তপুর গ্রামের বৃদ্ধ দুলাল মন্ডল বলেন, মিঠুন ছেলে হিসেবে ভালো। আমরা দোয়া করি সে যেন জিততে পারে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাবিনা খাতুন বলেন, আমরা মিঠুনকে এবার ভোট দিবো। আশা করি সে বিজয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করবে।আগামী ২৮ শে নভেম্বর লালপুরে দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।