নাঙ্গলকোট মাদ্রাসার শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে তৃতীয়তম স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

রিমু আফরাতুল কুমিল্লা প্রতিনিধি : নাঙ্গলকোট চারিজানিয়া জামেয়াই ছালেহিয়া দ্বীনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে তার তৃতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বেলায়েত হোসেন নাঙ্গলকোটের গোত্র সালের বাসিন্দা।তার বিরুদ্ধে তার ৩য় নাম্বার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার খুকি যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন।ফাতেমা আক্তার খুকি বলেন বেলায়েত হোসেনের সাথে আমার প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে বেলায়েত আমাকে বলে তার আগে একটা বিয়ে হয়েছে তার স্ত্রী ৪ বছরের একটি কন্য সন্তান রেখে মৃত্যু বরন করেন।

বর্তমানে তার কন্যাকে নিয়ে সে খুব অসহায় অবস্থানে আছে।তার কন্যাকে লালন পালনের জন্য হলেও একটি বিয়ে করা দরকার। আমি বর্তমানে একটি কলেজের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছি। আসা করি তোমার কোনো কিছুর অভাব হবে না। আমি তার সকল কথা শুনে তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি এবং বিবাহ করার সম্মতি প্রদান করি।দুই মাস প্রেমের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, সংসার শুরু করি। তখনি বাধে বিপত্তি। আমি বিবাহের দুই মাস পর জানতে পারি তার বর্তমানে আরো দুটি বউ আছে,যারা দু জনি জীবিত।

তাদের সাথেও প্রেম করে বিয়ে করেছে বেলায়েত।দু জনের ঘরেও ছেলে সন্তান আছে। প্রথম ঘরে দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে এবং দ্বীতৃয় ঘরে একটি মেয়ে আছে।আমি সকল কিছু জানার পর এই নিয়ে তার সাথে কথা বললেই তার আসল রুপ আমার সামনে আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে।সে আমার বরন পোশন বন্ধ করে দেয় এবং প্রতিদিন কোনো না কোনো কারন দেখিয়ে আমার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।এক পর্যায়ে আমাকে নির্যাতনের মাত্রা দ্বীগুন বাড়িয়ে দেয়।আমি তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষয় টি আমার বাড়িতে জানাই। এই বিষয় নিয়ে আমার বাড়িতে সমাজের মানুষ নিয়ে একাধিক বার বৈঠক হয়।

সে প্রতিবার সবার সামনে ভালোভাবে চলবে, ভালোভাবে থাকবে বলে সবাইকে আস্তাস প্রদান করে।কিন্তু কিছু দিন পর নানা কৌশলে আবার নির্যাতন শুরু করে।
এক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকার জন্য আমাকে অমানবিক নির্যাতনের করে। আমি আর সহ্য করতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকি এবং কোটের মাধ্যমে একটি যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করি। মামলা করার পর থেকে সে প্রায় আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।কই থাকে কি করে আমি কিছুই জানতাম না। তাকে মোবাইল ফোনে কল দিলে সে ফোন রিসিভ করতো না।বিবাহের পর সে আমাকে আলাদা বাসায় রাখতো যার ফলে তার অন্যান্য বউ ও পরিচিত কারো সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।

এক পর্যায়ে আমি তার বিষয় যখন খোজ খবর নিতে থাকি, তখন আস্তে আস্তে আমি অনেক তথ্য জানতে থাকি।তার বড় বউ ও মেঝো বউ উভয়ই তার নামে যৌতক ও নারী নির্যাতন মামলা করে আগেই। তাদের সাথেও সে এমন করেছে। আমি আরো জানতে পারি সে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে।আমি এই বিষয় নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে কথা বলতে গেলে জানতে পারি এই একই বিষয় নিয়ে তার আগের বউ রা মাদ্রাসা অনেক বার গিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকদের কাছে বিষয় গুলি জানিয়েছে। এটা নিয়ে তার মাদ্রাসায় তাকে একাধিক বার সতর্ক করে এবং পরে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃক নোটিশ প্রধান করে।

এক কথায় সে কাউকেই মানে না।আদালতে মামলা করার পর সে আদালতে গিয়ে স্টেম্পে মুজলেখা দিয়ে আসে আমাকে দু মাসের মধ্য ঘর করে দিয়ে আমার সাথে কোনো প্রকার নির্যাতন না করে সুন্দর মত সংসার করবে।আমি এখন সাত মাসের অন্তস্তা,আমার এখন যে পরিমান যত্ন ও খাওয়ার প্রয়োজন তা সে বহন করছে না। এই অবস্থা ও সে মাঝে মধ্যে এসে আমাকে নানাবিধ হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। আমার জীবন ও আমার সন্তানের জীবন এখন সংকটাপূন্য। আমি প্রশাসনের কাছে এর একটা সুস্থ বিচার চাই।এখন আমি জানতে পারি যে, সে আরো কয়েক জন মেয়ের সাথে প্রেমে মগ্ন আছে। তাদের সাথেও একি প্রতারণা করছে।এই বেলায়েতের চরিত্রটাই এমন।

সে ভালবেসে তার, একই গ্রামের স্কুল শিক্ষকের মেয়ে মোকসেদা আক্তার কুসুমীকে বিয়ে করে।বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই কুসুমিকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে থাকে যৌতুকের দাবিতে।চাপ প্রয়োগ দিনে দিনে বাড়তে থাকে, একসময় পরিণত হয় গায়ে হাত তোলা ও মানসিক নির্যাতনের। শুরু হয় গ্রামে সালিসী ও দরবার। বেলায়েত হোসেন সালিশ দরবারের তোয়াক্কা করে না। স্কুল শিক্ষকের রিটারমেন্টের টাকা ও জমি বেলায়েত হোসেন হাতিয়ে নেয় সু কৌশলে। কুসুম ছিল তার প্রথম স্ত্রী। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে এক ও মেয়ে। বেলায়েত হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামের মিরসরায়ে রেজিয়া বেগম কে। রেজিয়া বেগমের স্বামী বিদেশে মারা যাওয়ার পর বেলায়েত হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেম শুরু হয়।

মৃত স্বামীর এক কন্যাসহ বেলায়েত হোসেনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে রেজিয়া বেগম। বেলায়েত হোসেনের বিয়ে করা ও প্রেম করার টার্গেট ছিল রিজিয়া বেগমের ভাইয়েরা ইউরোপে থাকে, অনেক টাকা-পয়সার মালিক এবং মৃত স্বামীর অনেক সম্পত্তি ও টাকা পয়সা সে পাবে। রেজিয়া বেগমের টাকা দিয়ে লাকসাম মিশ্রী গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি করে মেঝো বউ সেখানে থাকে। তার এই চারিত্রিক বিষয় নিয়ে প্রায় প্রতিদিন বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। এই নিয়ে ঐ গ্রামের মানুষরাও তার উপর বিরক্ত।

তার ৩য় স্ত্রী ফাতেমা আক্তার খুকি আরো বলেন এই চরিত্রহীন বেলায়েত আমাদের তিন জনের জীবন নষ্ট করেছে, আর যাতে কোনো মেয়ের আমাদের মত জীবন নষ্ট্য না হয়। তাই আমি প্রশাসন ও মানীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করবো এই চরিত্রহীন বেলায়েত হোসেনের কঠিন শাস্তি হয় এবং তার বিরুদ্ধে আইনী প্রয়োগের জোর দাবি করছি।