নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন দেখার কেউ নেই

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের কবলে পড়েছে ফসলি জমি বাড়িঘর সহ কয়েক কিলোমিটার জায়গা। সরকার দলীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণীর কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা এই অবৈধ বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে বলে স্থানীয় ভুক্তভোগী পাড়ের মানুষের অভিযোগ স্রোত নেই, ঢেউ নেই- তারপরও নদীগর্ভে সবকিছু বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

নিঃস্ব হচ্ছে পাড়ের সাধারণ মানুষ এই অব্যাহত ভাঙনের ফলে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘল বাক ইউনিয়নের হুসেন পুর ডাইকের নিকট থেকে দুর্গাপুর কুমারকাদা গ্রাম সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ রয়েছেন নদী ভাঙ্গন আতংকে৷ অনেক পরিবার তাদের ভুমি ও ভিটেবাড়ি হারিয়েছেন এ কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ওই এলাকার পাড়ের বাসিন্দারা। থেমে নেই বালু উত্তোলন এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুশিয়ারা নদীতে বালু উত্তোলনের নানা চিত্র বালু খেকোরা যদিও বিগত ৬ মাস ধরে তাদের এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে ইদানিং তাহারা নানা কৌশল অবলম্বন করে রাতের বেলাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। উত্তোলনকারীরা তারা স্থানীয়দের বাঁধা মানছে না চোখের সামনে মানুষের সহায়-সম্পত্তি বিলীন হতে দেখেও বালু উত্তোলন থেকে বিরত রাখতে পারছেন না এলাকাবাসী নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন জানান ইউনিয়নের প্রভাবশালী সাজ্জাদ ও আলা উদ্দীনের নেতৃত্বে ড্রেজার মিশিন সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দ্বারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই চক্র।

বালু উত্তোলন করায় প্রতি বছর বর্ষা শুরু হলে যেমন ভাঙন হচ্ছে, হেমন্তকালেও ভাঙন থেমে নেই এতে বিলীন হয়ে যায় উনিয়নের উল্লেখিত গ্রাম গুলো সহ কুশিয়ারা নদী পাড়ের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি কিন্তু এটি দেখার যেন কেউ নেই। কুমার কাদা গ্রামের ও নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারানো দিন মজুর দুরুদ মিয়া(৫০) নামের ব্যক্তি বলেন তিনি ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে রাস্তায় চাউনী ঘর বানিয়ে কোন রকম বসবাস করছেন পরিবার নিয়ে স্থানীয়রা।

অভিযোগ করে বলেন বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে দীঘলবাক ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে কয়েকটির গ্রাম হারিয়ে যেতে পারে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ বলেন বিষয়টি আমরা জেনেছি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷