নদী তুমি কার ?

শাহ আলম, ব্যুরো চীফ : ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বুক চিরে নাকি বলব নাভী ঘেসে বয়ে গেছে হতভাগা এই নদীটি। আমাদের অত্যান্ত লজ্জাজনক হলেও সত্য যে, সদ্য যৌবনে পা দেয়া এই যুবতী নদীটি অপমৃত্যুর দায়ী কে? বা কোন সু-পুরুষ। ভদ্র শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের প্রশ্ন, ধিক্কার জানাই পুরুষ তুমায়। যার দায়িত্ব জ্ঞান হিনতায় এই নদীটির মৃত্যুর কারন। আসুন-না বলছি দু হাত রেখে বুকের উপর একবার রেহায় দিন প্রাণ চায় এই নদীটি। আসুন সবাই মিলে এই খিরু নদীটিকে পূনজ্জিবীত করি। যদিও কতিপয় ডাইয়িং ফেক্টুরীর অব্যবস্থাপনাকে আপাত দৃষ্টিতে দায়ী করা হচ্ছে। অপরদিকে এই শিল্প কারখানা গুলোই মুছে দিচ্ছে আমাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে। শুধুমাত্র সঠিক দিক নির্দেশনা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে রেখে বাচাঁতে পারি আমাদের এই নদীটিকে। একবার নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন আজ থেকে ১৫ বছর আগে কি চিত্র ছিল এই নদীটির। আর আজ মনে হচ্ছে বেশ^াপাড়ায় স্বপ্নবোনা সেই যুবতী মেয়েটি যাকে ঠুকরে ঠুকরে খেয়েছে। আমর এই লিখাগুলো পড়ে কারো হয়তো ভাল লাগবে আবার কারো ইয়ে.. ইয়ে… লাগবে, কারও আবার হৃদয়জোরে ভাললাগা বয়ে যাবে। ভাল লাগা না পাঠকের কাজ। তবে আমি লিখে যাব ততোক্ষন যতক্ষন কতিপয় ডাইয়িং ফেক্টুরীর অব্যবস্থাপনার কারনে মরতে বসেছে যে নদী আজ। সেই নদীর বুকেই মাঝি বাইতো নৌকা, ভাটিয়ালী গান। আজ আর এই দিকে তাকাইনা কোন স্বপ্ন ভরা চোখে, গায়না গান ভাটিয়ালী আবেগ ভরা বুকে। অদর খানি সুকিয়ে গেছে, কাঁদেনা আর কারো দুঃখে। সতিই নিজের চোখে না দেখলে কল্পনার তুলিতে রং মিশিয়ে অঙ্কর করা যাবেনা এই নদীর ১৫ বৎসর পূর্বের যৌবনের গুনগান।
চলবে………….