নদীকে তার আপন গতিতে চলার দিক-নির্দেশনা দিলেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুজিবুর রহমান হাওলাদার নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিলেন। শুক্রবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাগর-নদী ও খাল রক্ষা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে, বিদ্যুৎ প্লান্টের নামে কোন নদী-খাল দখল করা যাবেনা।

তিনি আরো বলেন, দেশের জন্য কাজ করলে মানুষ সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে। নদীর জমি কারও না। নদীকে নদীর মতো রাখতে হবে। নদী-খাল রক্ষায় দ্রæত ব্যবস্থা নিতে হটলাইন চালু করা হচ্ছে। আগামি প্রজন্মের জন্য নদী-খাল রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নদী তীরের সকল অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করে উচ্ছেদ করতে হবে। শুধু নদী নয় কোন খালের পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। আমরা নদী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছি। ১৯০৮ সালের ১৩৩ ধারায় কোনোভাবেই খালে মৎস চাষ করা যাবেনা এবং ৫ ও ৮ ধারায় এসবকিছুরই দেখ-ভালো করার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বের্ডের।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দলোন (বাপা) কলাপাড়া শাখার উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রৌকশলী সাজিদুর রহমান সরদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, অধ্যক্ষ্য মো.আবু সাইদ, গণমাধ্যম কর্মী ওমর ফারুক প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাপা কলাপাড়া আঞ্চলিক শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন মাননু।

এর আগে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুজিবুর রহমান হাওলাদার আন্ধারমানিক নদী তীর, নির্মানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকার নদী পরিদর্শন করেন।