নতুন সাজে গরুর হাট, আকাশ ছোঁয়া মাংসের দাম !

খুলনা প্রতিনিধি : উৎসব আসলেই মনে পড়ে প্রথমেই মাংস কিনতে হবে।
ক্রেতারা মাংস কিনতে গেলেই অসাধূ মাংশ ব্যবসায়ীরা বাক শক্তি রুদ্ধ করে হাতিয়ে নিচ্ছে পকেটের টাকা। এটা এক বণ্যাঢ্য জুলুম বললেই চলে।
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে বলে ঈদের জন্য বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। যেখানে বেশি বিক্রি হওয়ায কেজি প্রতি কুড়ি টাকা কম নেওয়া উচিত সেখানে কেজি প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ১৭০টাকার ও অধিক হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু কশাই ব্যবসায়ীর দল।
আরেকটু দামের বিষয়ে কথা বলতে গেলেই বলে ওঠেন এতকথার উত্তর নাই , নিলে নেন না হয় যান।
রোজার ঈদ এর আগে প্রতি বছরের ন্যায় যেমন মাংসের দাম বৃদ্ধি করা হয় এখনো পর্যন্ত একই ধারার ন্যায় চলছে ৫৫০ টাকা কেজি শহরের বেশিরভাগ জায়গায় । ব্যবসায়ীদের একটিই স্লোগান ঈদের কারনে দাম বেড়ছে যোগান কম দাম বেশি কিছুই করার নাই। এদিকে শহরের উল্লেখযোগ্য ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গুলো দর কশছেন ৬৫০ টাকা কেজি। ভোক্তাগন কেউ বা বলে ওঠেন আল্লাহ জানেন কবে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাব।

ঘটনার অন্তরালে দেখা যায় শুধু তাই নয় এক কেজি গরুর মাংসে ৩০০ গ্রামের হাড্ডি নেওয়া বাধ্যতামূলক। সাধারণ ক্রেতারা আজ শুধু হতাশ কি হবে আগামীর পথ চলা। খুলনা নিউমার্কেট এরিয়ার একজন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা নগরীর ময়লাপোতা গরুর মাংসের দোকানে গিয়ে এক কেজি গরু মাংস চাইলে তাকে ৪০০ গ্রামের ও অধিক একটা হাড্ডি ধরিয়ে দিয়ে দোকানী বললেন খুব ভালো একটা জিনিষ দিলাম স্যার । হাড্ডির নলার মধ্যে মাল আছে। ভদ্র লোকের সাথে তার পরিবারের উপস্থিতির কারনে কিছু না বলেই মাংস নিয়ে চলে গেলেন। আবার কোন কোন দোকানে শুক্রবার ব্যাবসা অতি ভালো হওয়ার দরূন আরও বেশি উপার্জনের জন্য ডিজিটাল মেশিনে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে গদ! জানালেন নগরীর টুট পাড়া এলাকার সাধারণ গরুর মাংস ক্রেতার মধ্যে অন্যতম শেখ জীবন ও তার স্ত্রী পপি তারা নিজেই এই রকম একটি বিপাকে পড়েছেন সম্প্রতি টুট পাড়া এলাকার কশাই ব্যবসায়ীর হাতে । সন্দেহ হওয়ায় পাশের দোকানে গিয়ে মাপ দিয়ে দেখা যায় ২০০ গ্রাম মাংস কম এক কেজিতে। সাথে সাথে ঐ দোকানীর কাছে গিয়ে আপত্তি জানালে পাঁচ টুকরো মাংস দিয়ে বলে স্যার ওজন মেশিনে সমস্যা ছিলো।
তিনি আরও বলেন সরকারের দিক নির্দেশনার পাশাপাশি প্রশাসন ও আমজনতার গতিশীল ধারা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখা দরকার। আবার কোন ক্রেতা বলতে থাকেন সরকারি দপ্তরের কোনই কি মাথা ব্যাথা নেই ! ৫০০ টাকা একদিনে ইনকাম করা অনেক কঠিন ও কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। একই সাথে শহরের ছাগলের মাংসের দোকানে শুধু পাওয়া যায় খাশির মাংস ভেড়া ও পাঠী ছাগল গুলো কোথায়! চোখ রাখুন।