ধান কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩ দিন পর হাওড়ে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ

মিলন, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ধান কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর হ্যান্ডট্রলী চালক আব্দুল মজিদের (৫০) বস্তাবন্দি মরদেহ হাওড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী থানার একটি হাওড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করে লিপসা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার বাড়ি থেকে নেত্রকোনার খালিয়াজুরির আড়াকান্দির এলাকায় ধান কিনতে গিয়ে নিখাঁজ হন আব্দুল মজিদ। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বোকাইনগর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে আব্দুল মজিদ পেশায় একজন হ্যান্ডট্রলী চালক। গত সোমবার স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী এমদাদুল হকের ধান ক্রয়ের জন্য টাকা নিয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর আড়ারকান্দি এলাকায় গাড়ি নিয়ে রওনা হয় মজিদ। পথিমধ্যে উচিতপুর এলাকায় গাড়ি রেখে ধান আনার জন্য ট্রলারে করে খালিয়াজুরীর আড়ারকান্দি এলাকায় রওনা হন তিনি। ওইদিন রাত ৮টায় পরিবারের সাথে সর্বশেষ কথা হয় মজিদের। এরপর থেকে মজিদের মুঠোফোন বন্ধের পাশাপাশি তার কোন খোঁজ পাচ্ছিলা পরিবার।

এদিকে মজিদের নিখোঁজের ঘটনায় গত মঙ্গলবার খালিয়াজুরি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মজিদের পরিবার। এরপরেই পুলিশ তার সন্ধান বের করতে তদন্ত শুরু করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে খালিয়াজুরির একটি হাওড় থেকে বস্তাবন্দি মজিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্থানীয় বাদল ও বিজয় নামে দুই জনকে আটক করেছে।

নিহতের ছেলে শাহিন রানা বলেন, ধান কেনার জন্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিল তার পিতার সাথে। ওই অঞ্চলের যাদের সাথে যোগাযোগ করে তার পিতা ধান ক্রয় করত ধারণা করছে টাকা ছিনিয়ে নিতে তারাই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

খালিয়াজুরির লিপসা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইনচার্জ হানিফ উদ্দিন বলেন আটককৃত ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে হাওড় এলাকা থেকে ধান ক্রয় করতো মজিদ। সন্দেহভাজন হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।