দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হলো উভচর বাড়ি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মাণ করা হয়েছে বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ি। আজ রোববার সিরাজগঞ্জ পলেটেকনিক ইন্সটিটিউটের হলরুমে বাড়িটির উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ি তৈরির প্রযুক্তি এবং এর সুবিধা সর্ম্পকে অনুষ্ঠানে বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম খান।

তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ি তৈরির প্রযুক্তি পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। যেখানে গবেষণা সহকারি হিসেবে কাজ করছে আরবানাইজিং ডেল্টাস অব দ্যা ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের আওতায় বুয়েটের কোর বাংলাদেশ প্রজেক্ট এবং নেদারল্যান্ডসের আই এইচ ই ডেলফ্ট। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, দেশে বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠী বন্যার কারণে যে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি হয় তা থেকে দ্রুত প্রতিকার পাওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন প্রযুক্তিকে পরিচিত করানো, যার মধ্যে একটি উভচর বাড়ি প্রযুক্তি।

তিনি আরও জানান, উভচর বাড়ির সুবিধা হলো বন্যার পানি আসলে পানির সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটিও ভেসে উঠবে। আবার বন্যার পানি যখন সরে যাবে বাড়িটি তখন যথাস্থানে বসে যাবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুইমাসে আট শতক জায়গার (দুই হাজার স্কয়ারফিট) উপর নির্মিত প্রথম বাড়িটি তৈরিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এমন বাড়ি নির্মাণ ব্যয় অনেকটা কমে যাবে বলে জানান তিনি।

পলেটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা সার্প’র নির্বাহী প্রধান মো. শওকত আলী। এ ছাড়া ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাচন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আব্দুর রহিম, কোর বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান দুইজন অধ্যাপক ক্রিষ্টিয়ান জেভেন বার্গেন ও আই এইচ ই ডেলফট, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামসহ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রানীগ্রামে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ির উদ্বোধন করা হয়। বাড়িটির মালিক ওই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম।