দেশের সব বিভাগে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, এধরনের একটি প্রকল্প ডিপিপি হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। আশা করছি শিগগিরই একনেক সভায় প্রকল্পটি পাস হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় পাঁচশয্যার একটি কিডনি ডায়ালেসিস হাসপাতাল স্থাপন করতে যাচ্ছি আমরা। এটিরও ডিপিপি কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের ৪র্থ দিনের ৪র্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

হৃদরোগ ও কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডিসিদের কি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে দিনদিন ক্যান্সার, হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো ভেজাল খাবার, পরিবেশ দূষণ, ইটভাটার ধোঁয়া, পানিদূষণ ইত্যাদি। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে যাতে যত্রতত্র লোকজন প্রবেশ করতে না পারে। একই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন- পরীক্ষা সময়, টিকাদান কর্মসূচি, এ ক্যাপসুল, স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালনে ডিসিরা সহযোগিতা করে থাকেন। তাদের এ সহযোগিতা আরো ভালোভাবে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়ে কি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এবিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালেতো ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন দেন, যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক লাগে সেখানে। কিন্তু ফার্মেসিতে তারাতো প্রেসক্রিপশন দেন না। তাই তারা যেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে। পৃথিবীজোড়া এ নিয়ম। কিন্তু সবাই মানে না। বিশেষ করে ফার্মেসিগুলো মানে না।

তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য লাইন বা ফুড চেইন যেমন- পোল্ট্রি, মৎস্য খামার, পশু খামারগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে তা পশু, মাছ, মুরগি হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। সেজন্য সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রেজিস্টার পদ্ধতি চালুসহ সবাইকে সতর্ক হতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসকরা বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের দিক তারা তুলে ধরেছে। এখন বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে। জেলা-উপজেলায় হাসপাতালগুলোতে আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা আছে। এরমধ্যেও কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন- ডিসিদের নিয়মিত সভা করা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে ডাক্তারদের উপস্থিতি, পরিবেশ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রোগীদের সেবার মানের বিষয়ে খোঁজ খবর ও পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া জেলাগুলোতে যাতে ভেজাল ওষুধ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বিক্রি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।