দুর্দান্ত তামিমে শিরোপা কুমিল্লার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধুঁয়ে মুছে গেল শুরুর গ্লানি। কি কাটখোট্টা এক বিপিএলই না শুরু হয়েছিল। রান নেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে। নেই আধুনিক প্রযুক্তি। আম্পায়ারিংয়ের ভুল। কিন্তু সেসব ভুলের মাশুল এক ফাইনালের উসুল হয়ে গেল। দর্শকদের খরচা করা টাকা কিংবা সময় বিফলে গেল না। প্রথমে তামিমের অসাধারণ সেঞ্চুরি। পরে দেখা মিলল ঢাকার পাল্টা ছো। শেষ পর্যন্ত দারুণ জমাট লড়াই দিয়েও ঢাকা হারল ১৭ রানে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের শিরোপা ঘরে উঠল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।

এ নিয়ে বিপিএলের ছয় আসরের পাঁচটিতে ফাইনাল খেলল ঢাকা। পরপর দু’বার হারল ফাইনাল। তার আগে প্রথম দু’বার শিরোপা তুলেছিল ঘরে। এক আসর ছাড় দিয়ে আবার নিজেদের সম্পত্তি ঘরে ফেরায় ঢাকা। এবার দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। আর কুমিল্লা ঘরে তুলল বিপিএলের দ্বিতীয় শিরোপা। তামিম খেললেন বিপিএল প্রথম ফাইনাল। দেশ সেরা ব্যাটসম্যান সেটা দারুণভাবে রাঙালেন।

টস জিতে কুমিল্লাকে এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা। আগের পাঁচ আসরের তিনটিতে শিরোপা জেতে প্রথমে বল করা দল। সাকিবের হয়তো মাথায় ছিল সেটা। কিন্তু দিনটা যখন তামিমের তখন সব অতীত কিংবা পরিসংখ্যান ম্লান। বাংলাদেশ ওপেনার এ ম্যাচে দলের হয়ে খেলেছেন ৬১ বলে ১৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এগারটি ছক্কা আর দশ চারে সাজানো তার ইনিংসে পাত্তা পায়নি ঢাকার কোন বোলার।

সাকিব-রুবেলদের কচুকাটা করেছেন তিনি। রুবেলের ১৫তম ওভারে তিনি একাই নিয়েছেন ২২ রান। রাসেলের ১৭তম ওভার থেকে তুলেছেন আবার ২২ রান। পরে সাকিবের বলেও দেখিয়েছেন চার-ছক্কা। নারিনকেও ছাড়া দেননি তিনি। তুলে নিয়েছেন বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। এমনকি টি-২০ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও দেখিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ধরেছেন দারুণ দুই ক্যাচ। আনামুল-ইমরুলরা আরেকটু হাত খুলে খেললে রান আরও বড় হতে পারত কুমিল্লার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোন রান না তুলেই ফিরে যান সুনীল নারিন। তবে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান উপুল থারাঙ্গা এবং রনি তালুকদার। তারা ১০২ রানের জুটি গড়েন। থারাঙ্গা ৪৮ রান করে ফিরে যান। পরে ফেরেন সাকিব। দলের রান আর এক যোগ হতেই ১২১ রানে নিজের ৬৬ রানে ফিরে যান রনি তালুকদার। ঢাকা হারায় রান তোলার গতি।

এরপরও ভরসা ছিল ঢাকার। কারণ ওপরে ছিলেন পোলার্ড-রাসেলরা। কিন্তু তারা ভরসা দিতে পারেননি দলকে। পোলার্ড ১৩, রাসেল ৪ এবং শুভাগত শূন্য রানে ফিরলে সব আশা শেষ হয়ে যায় ঢাকার। শেষটায় মাহমুদুলের ১৫ এবং নুরুল হাসানের ১৮ রান হারের ব্যবধান কমায। এর আগের আসরে ঢাকা ফাইনালে ২০৭ রান তাড়া করতে গিয়ে হেরেছিল ৫৭ রানে। আর এবার পুরোপুরি দুইশ’র লক্ষ্য তাদের শিরোপা বঞ্চিত করল ১৭ রানে।