দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হলো “বেনাপোল এক্সপ্রেস”

এস এম মারুফ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ
থাকার পর বৃহষ্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) পুণরায় বেনাপোল-ঢাকা রুটে ”বেনাপোল
এক্সপ্রেস” যাত্রীবাহী ট্রেনটির যাত্রা শুরু হলো।

যশোর অঞলের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এক্সপ্রেসটি
উদ্ভোধন করেন। সে সময় থেকেই ইন্দোনেশিয়ার তৈরী ৮৮৬ আসন বিশিষ্ট বেনাপোল
এক্সপ্রেস চলাচল করে আসছিল। ১২টি বগির মধ্যে কেবিনে ছিল ৪৮ আসন, এসি
চেয়ার আসন ছিল ৭৮টি। বাকি ৭৬০টি নন এসিচেয়ার আসন ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে
ট্রেন দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস পুণরায় চালু করা করা হয়েছে সেটায় যাত্রী
সেবার মান সন্তোষজনক নয়।

এখনকার ট্রেনটি ভারতের তৈরী এবং ট্রেনে কোন এসি
বগি নেই। ৮টি বগিতে ৪৮টি কেবিন আসন আছে। বাকি ৭৪৫টি ননএসি চেয়ার আসন আছে।
ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ননএসি চেয়ার প্রতি আসন ৪৮৫ টাকা ও কেবিন প্রতি
আসন ১১১৬ টাকা। পুণরায় চালু হওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসে এসি আসন না থাকায়
অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ট্রেনে ভ্ররনণপ্রেমী যাত্রীরা।

ট্রেনের যাত্রী নয়ন হাওলাদার জানান, আমার ব্যবসায়ীক কাজে প্রতিমাসে
কয়েকবার ঢাকা যেতে হয়। বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে আমি ঢাকায়
প্লেনে বা পরিবহনে না যেয়ে ট্রেনে চলাচল শুরু করি। অনেকদিন পর আজ পুণরায়
ট্রেনটি চালু হওয়ার পর ষ্টেশনে এসে এসি ট্রেন নাই শুনে অবাক হলাম।

তিনি আরো বলেন, বেনাপোলে নানা শ্রেনীর মানুষকে চাকুরি করার সুবাদে
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে হয়। কাস্টমস ও বন্দরের অনেক কর্মকর্তারা এসি
ট্রেনে চলাচল করতো। এখন এসি ট্রেন না থাকলে আগের মতোই ভোগান্তি হবে
বেনাপোল ঢাকা চলাচল কারী যাত্রীদের। এখন আবার আমার মতো যাত্রীদের ঢাকায়
যেতে হলে যশোর থেকে এসি ট্রেনে উঠতে হবে অথবা বিমানে যেতে হবে। এতে আমরা
খরচ বাড়ার সাথে সাথে নানা ভোগান্তির স্বীকার হবো।

বেনপোল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, করোনার ভাইরাসের কারনে
বেনাপোল এক্সপ্রেসটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আজ পুণরায় চালু হয়েছে। আগে
এ রুটে যে বেনাপোল এক্সপ্রেসটি চলতো সেটা ইন্দোনেশিয়ার তৈরী। আর এখন যেটা
চলবে সেটা ভারতের তৈরী। আগের ট্রেনে এসি আসন ছিল। আর এখন এসি কেবিন আছে
কিন্ত্র এসি চেয়ার আসন নেই। বেনাপোল এক্সপ্রেসটি পূর্বের ন্যায় সপ্তাহে
ছয় দিন চলবে। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে ছেড়ে ঝিকরগাছা,
যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা বিরতি, চুয়াডাঙ্গা, পুড়াহদ,
ভেড়ামারা, ঈশ্বরদি হয়ে ঢাকায় ৮.৫০ মিনিটে যাবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল ২০২১করোনা ভাইরাসের কারনে ”বেনাপোল এক্সপ্রেস”
ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়।