দীর্ঘ ১৮ বছর পর আওয়ামী লীগের চুয়াডাঙ্গা পৌর ও সদর উপজেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কাল

মো. আশরাফুল আলম, চুয়াডাঙ্গা: দীর্ঘ ১৮ বছর পর আওয়ামী লীগের চুয়াডাঙ্গা পৌর ও সদর উপজেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল রোববার বেলা ১০টায় দুটি কমিটির সম্মেলনই সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাড হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা খাতুন এমপি, অ্যাড গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, এই দুটি কমিটিকে ঘিরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা নড়ে-চড়ে বসেছেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর কমিটির সভাপতি পদে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেলা জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার একজন শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি আওয়ামী লীগের জেলা কমিটিরও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এছাড়া সভাপতি পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুবলীগ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের একজন জোড়ালো প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস রাশেদুজ্জামান বাকী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের নাম শোনা যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিগবাজারের কর্ণধার হাজী মো. আজিজুল হক একজন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকও একজন প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফুলবাড়ি গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেকেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, যে সকল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত রয়েছে তাদেরকে নতুন কমিটিতে অন্তর্ভক্ত করার দাবি উঠেছে। তবে যারা হাউব্রিড ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি তাদেরকেই কোনভাবেই দলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়া, জেলা পরিষদ নির্বাচনে যেসকল চেয়ারম্যান-মেম্বররা একাধিক প্রার্থীর কাছে থেকে ভোটে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তারাও পদ-পদবী থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। কেননা তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে।