দিনাজপুরে বিপদসীমার কাছাকাছি ৩ নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক :অব্যাহত বর্ষণ ও উজানের ঢলে দিনাজপুর জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার থেকেই দ্রুত এসব নদীর পানি বাড়লেও সোমবার থেকে পানি বৃদ্ধির গতি কমে আসায় বন্যার আশঙ্কা করছেন না পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম।

দিনাজপুর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মো. মাহাবুব আলম জানান, জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার বিপদসীমার বিপরীতে বর্তমানে পানির স্তর রয়েছে ৩২ দশমিক ৩০০ মিটার। আত্রাই নদীর ৩৯ দশমিক ৬৫০ মিটারের বিপদসীমার বিপরীতে বর্তমানে ৩৯ দশমিক ৪৪০ মিটার ও ইছামতি নদীর ২৯ দশমিক ৯৫০ বিপদসীমার বিপরীতে ২৮ দশমিক ৪৪০ মিটারে অবস্থান করছে।

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান জানান, দিনাজপুরের নদ-নদীগুলোতে রবিবার যেভাবে দ্রুত নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তাতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু সোমবার নদীর পানি বৃদ্ধির গতি কমে এসেছে। তাছাড়া উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তাই মঙ্গলবার দিনাজপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানিও কমতে পারে। এসব বিবেচনা করে দিনাজপুরে আপাতত বন্যার আশংকা নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে দিনাজপুর শহরের মাঝাডাঙ্গা গ্রাম সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই করলে মাঝাডাঙ্গা গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নিচু এলাকার লোকজন অনেকেই নদীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যদি কোনো এলাকা বন্যা কবলিত হয়, তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এজন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের একটি কন্ট্রোল রুম।