দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মঞ্জু সভাপতি, শহিদুল সম্পাদক

দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে
মঞ্জু সভাপতি, শহিদুল সম্পাদক

রাসেল আহমেদ
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাহফুজুর রহমান মঞ্জু সভাপতি এবং শহিদুল ইসলাম ওসতাগার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী তিন বছরের জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের পরিবর্তে তৃণমুল থেকে উঠে আসা ত্যাগী নেতারা নেতৃত্ব পাওয়ায় সাধারণ কর্মীদের মধ্যে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হওয়ার পর গতকাল দামুড়হুদা উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঝন্টু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি সোলাইমান হক জোয়ার্দার।

প্রধান অতিথি হিসেবে আসন গ্রহন করেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা বিএম মোজাম্মেল হক ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্ষকরী সংসদের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগর টগর, জেলা সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেমস অলক চৌধুরী, অ্যাড শাহরিয়ার কবির ও আরো অনেকে।
জনাব মোজাম্মেল হকের দক্ষতায় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ১৮ বছর পর দামুড়হুদা উপজেলা নতুন কমিটি গঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বিএম মোজাম্মেল হক কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী “কোন বিদ্রোহী প্রার্থী সম্মেলনে সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক হতে পারবেন না এই বিষয়টি পূনরায় উল্লেখ করেন”। তিনি এ বিষয়ে গত কাল জীবননগর উপজেলার সম্মেলনে কোন বিদ্রোহীকে সুযোগ না দেবার নীতি প্রতিপালন করেন। নেত্রীর নির্দেশানুযায়ী কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা যাবেনা। দলীয় নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।।

মাহ্ফুজ রহমান মঞ্জুর পরিচালনায় সম্মেলনে ২০ জন নেতা কর্মীকে বিভিন্ন অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করেন। শোক প্রস্তাব গৃহিত হয়। শোক প্রস্তাবে প্রয়াত মির্জা সুলতান রাজাকে বিশেষভাবে স্বরণ করেন।
সাধারণ নেতা কর্মীরা জননেত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিগত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে এই উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও তারা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হতে না পারায় সকলে খুশী।
সাধারণ নেতা কর্মীদের মাঝে বর্তমান নেতাদের উপর অসন্তোষ থাকলেও প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে সকলে সফলভাবে সম্মেলন সফল করতে সহযোগিতা করেন।সাধারণ নেতা কর্মীরা হাইব্রিড, বিদ্রোহী মুক্ত কমিটি করার জন্য।