দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর মাদ্রাসায় তিন ছাত্র বলাৎকারের শিকার

জুড়ানপুর প্রতিনিধি: দামুড়দার বিষ্ণুপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ এর বিরুদ্ধে ৩ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। একজন ছাত্রের ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে ঐ শিক্ষক বলে অভিযোগ করেছে।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে হাউলী গ্রামের আবু সাঈদ বিগত পাঁচ ছয় মাস যাবত শিক্ষকতা করে আসছে এর মাঝে বিগত ১৫ দিন যাবত ঐ শিক্ষক তিন ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবক ও ছাত্ররা।

তারা হলেন: বিষ্ণুপুর মাঠপাড়ার সৌদি প্রবাসী মিলনের ছেলে জুবায়ের(৮), কোমলের ছেলে হৃদয়(৯), আব্দুল কাদেরের ছেলে হাবিব(৮)। তারা বিষ্ণুপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। এ বিষয়ে গত তিন দিন আগে জুবায়ের মুখ দিয়ে রক্ত পড়ার সময় বাড়ি গেলে তার মা বলে কি হয়েছে? ছাত্র বলে শিক্ষক প্রত্যেকদিন আমাদেরকে টেনেহিছড়ে নিয়ে যায় এবং মুখ কামড়ে দিয়েছে তখন ওর মা বিষয়টা কয়েকজনকে বললে জানাজানি পর্যায় হয়ে যাই। ঐ শিক্ষক মাদ্রাসা কমিটিকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে মাদ্রাসা থেকে সটকে পড়ে।

এ বিষয়ে ছাত্র জুবায়ের বলেন, আমরা রাতে পড়া শেষ করে ঘুমায়। ভোরে আমাদের টানতে টানতে নিয়ে যায় মুখ চাটে, কামড়ে আমার ঠোঁট ছিড়ে রক্ত বের করে দিয়েছে। এর আগে, আমি একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি হৃদয় কাতরাচ্ছে। ও যত সরে যাচ্ছে তত স্যার ওকে কোলের মধ্যে টেনে নেচ্ছে।

অন্য ছাত্র হৃদয় বলেন, আমার সাথে অনেক করেছে। আমি ভয়ে বলতে পারি নি। স্যার খুব খারাপ। পায়জামা খুলে নিতো।

অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলেদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন অন্য ছাত্রদের সাথে না ঘটে। ঐ শিক্ষক যেন অন্য কোন মাদ্রাসায় চাকরি করতে না পারে। আমরা আইনের বিচার চাই। থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

এলাকাবাসীরা বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ঐ শিক্ষককে কমিটির লোকজন কেন বিচার করলো না। আজ এদের সাথে ঘটেছে কাল অন্য ছেলেদের সাথেও তো ঘটাতে পারে এ শিক্ষক। ঐ শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মাদ্রাসা কমিটির লোকজন বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো নিউজ হবে কি হবেনা, সেটা আমরা ভেবে দেখবো, তোমরা সাংবাদিকরা নিউজ করার কে?

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাই নাই। পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।