দামুড়হুদায় ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল পালনে সাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে

রাসেল আহাম্মেদ,দামুড়হুদা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্লাকবেঙ্গল ছাগল পালন করে সচ্ছলতা
পাচ্ছেন অনেকে। লাভজনক হওয়ায় ব্লাকবেঙ্গল (কালো জাতের) ছাগল পালনে
ঝুঁকছেন অনেকে। এছাড়া ও উপজেলার কোঁষাঘাটা রয়েছে ওয়েভ
ফাউন্ডেশনের আওতায় ্ধসঢ়;ও একটি বড় খামার ও একটি ছাগল মাঠ ।
চুয়াডাঙ্গা ও প¦ার্শবর্তী মেহেরপুর জেলায় ঘরে ঘরে চাষ হচ্ছে এই
জাতের ছাগল। দারিদ্র বিমোচনে ভুমিকা রেখে চলেছেন এই জাতের
ছাগল বলে মনে করছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস। উপজেলায় প্রায়
দুই লক্ষ এই জাতের ছাগল রয়েছে বলে জানান প্রণীসম্পদ অফিস।
ওয়েভ ফাউন্ডেশন ফার্মের দায়িত্বে থাকা সিডিসির ম্যানেজার ডা,
আবু সালে শহিদ জানান, তাদের খামার ও ছাগল মাঠে রয়েছে সাড়ে ৩০০
ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে। প্রতি বছর তাদের ছাগরের
খাবার,পরিচর্যা দিয়ে খরচ হয় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার মত। বছরে এখান
থেকে ছাগল বিক্রয় করা হয় ৪০লক্ষ টাকার। এতে খরচ বাদে তাদের দুটি
খামার থেকে লাভ ২২লক্ষ টাকা। ছাগল খামার ভালো লাভবান হলে ও লাভের জন্য নয়
এই ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল টিকিয়ে রাখাটাই তাদের মুল উদ্দেশ্যে।শুধু
তাই নয় তাদের রয়েছে ভেড়া ও মরুর প্রানী দুম্বার খামার। দামুড়হুদা
উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আজিম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল দুই
সন্তানের জনক মান্নান বলেন,তিনি ৩০/৩৫ বছর ধরে এই কালো জাতের
ছাগল পালন করে সংসার চালাচ্ছেন। এর খেকে তিনি ছেলে সাইফুল ও
মেয়ে ফুলমনি কে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। ছেলে বেশী লেখাপড়া না
করলেও মেয়ে ঢাকায় মাষ্টার্স পড়াচ্ছেন। এছাড়াও প্রতি বছর তিনি
জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করেন। সম্প্রতি তিনি আড়াই লক্ষ টাকার ছাগল
বিক্রি ৫বিঘা জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। তার বর্তমানে ৩০টি
কালো জাতের ছাগল রয়েছে।এরমধ্যে ৯টি খাসি ও ২১টি বকরি। তিনি
ছাগল গুলোকে শুধুমাত্র সকাল বিকাল মাঠে নিয়ে খাওয়ান বাড়তি কোন
খাবার দেওয়া হয়না।দীর্ঘদিন তিনি ছাগল পালন করলে ও প্রাণীসম্পদ
অফিস থেকে কোন ধরনের সহায়তা পাননা বলে ও জানান।
দামুড়হুদা প্রার্ণীসম্পদ অফিসার নিলিমা আক্তার বলেন, ব্লাকবেঙ্গল
ছাগলের মাংস খুবই সুস্বাদু, ও স্বাস্থ্য সম্মত।আমাদের এই এলাকার

আবহাওয়া ব্লাকবেঙ্গল ছাগল পালনের জন্য খুবই উপযোগী। এই জাতের
ছাগলের রোগবালাই খুবই কম। শীত মৌসুমে শীতের সময় একটু
কেয়ার করে মাচা তৌরী করে উপরে রাখলে কোন রোগবালায়ের আক্রান্ত
হয়না। প্রায় প্রতি বড়িীতে কম বেশি এই জাতের ছাগল রয়েছে।
নিয়মিত তাদের ছাগলের খোঁজ খবর নেওয়া হয় ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ
দেওয়া হয়ে থাকে। ছাগল পালনে আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় দামুড়হুদা
উপজেলাসহ চুয়াডাঙ্গা,মেহেরপুর ও কুষ্ঠিায়ায় এই কালো জাতের ছাগল
আবাদ অনেক বেশী হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান,উপজেলার প্রায়
৬০শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এদেও অধিকাংশই ছাগল
গরু পালন করে থাকে। এই ছাগল ঘরে আটকিয়ে না রেখে ও পালন করা
সম্ভব শুধু মাত্র ছেড়ে দিয়ে মাঠে খাইয়ে পোষা সম্ভব। এদের বাড়তি
কোন খাবার না খাওয়াওে ও চলে।