দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে শপথ নেননি মোকাব্বির

নিজস্ব প্রতিবেদক : দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে নির্বাচিত হয়েও একাদশ সংসদের সদস্য পদে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোকাব্বির খান।আজ বেলা ১১ টায় জাতীয় সংসদের সচিবালয়ে তার শপথ নেয়ার কথা ছিল।এদিন তার দলের অপর নেতা সুলতান মনসুর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলেও বিরত থাকেন মোকাব্বির।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে নাম লিখিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে ভোট করে জয়ী হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। আর দীর্ঘদিন ধরে লন্ডন প্রবাসী মোকাব্বির খান গণফোরামের দলীয় প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী হন। ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী না থাকায় বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরাম একাদশ নির্বাচনের ফল বর্জন করে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত অপর পাঁচ সদস্য শপথ না নিলেও একাদশ সংসদে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির। পরে অবশ্য শেষ মুহূর্তে ভোল পাল্টান মোকাব্বির। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন তিনি।

মোকাব্বির শপথ না নিলেও শপথ নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন সুলতান মনসুর। আজ তিনি শপথ নিয়েই নিলেন।

অপরদিকে শপথ না নেয়ার বিষয়ে মোকাব্বির খান বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে আসছি। দল শপথের বিষয়ে ইতিবাচক থাকায় আমি ৭ মার্চ শপথ নিতে চিঠি দিয়েছিলাম। এখন আমাদের দল গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর নির্দেশে আমি শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকছি’। তিনি আরও বলেন, ‘শপথ নেয়ার এখনও অনেক সময় বাকি আছে। পরে আবার বসে আমার শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে’।

জানা গেছে, বুধবার বিকালে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে বৈঠক করেন গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। এই বৈঠকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ শপথ নিলে তার বিরুদ্ধে দলীয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি স্পিকারকে লিখিতভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়। দলের এই সিদ্ধান্তের পরপরই সুর বদলান মোকাব্বির খান। আপাতত শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বুধবার বলেন, ‘মোকাব্বির খান শপথ নিচ্ছেন না। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ শপথ নিলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দলীয় সিদ্ধান্ত এবং আইনগত সিদ্ধান্ত যা নেয়া দরকার, সেগুলো আমরা নেব’।