ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ওই সড়কটি ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে প্রবেশে ত্রিশালবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থাটা যতটা সহজতর করেছে, ততটা সহজতর করেছে ঢাকাগামী ফুলবাড়িয়াবাসীর চলাচলে। ওই ২০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)।
পিচঢালা সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দ। এতে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে অসহনীয় ভোগান্তি। উপজেলার বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমানা পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালে সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েও তা বাতিল হয়। পরে ২০১৮ সালে আবারও সড়কটি পুননির্মাণে টেন্ডার হয়। ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের পুননির্মাণের কাজটি পান মেসার্স ঢালি কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নাসিমুল গনি। ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ২০১৯ সালের ১৩ আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের অপারগতায় পর পর তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়। ওই সময় শেষ হবে আগামী আগস্টে।
গত তিন বছরেও চলাচলে অনুপযোগী সাড়ে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার পরিমাণ সড়কে সুরকি ফেলে শুধু রোলিংয়ের কাজ শেষ করা হয় কিন্তু এখনও আড়াই কিলোমিটার সড়কে সুরকি ফেলার বাকি। অনেক স্থানে এখনও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়নি। সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দে হাঁটুসম পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ পথে চলাচলকারী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। স্থানীয়রা বিদ্যমান অবস্থার জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।
জব্বার আলী, আব্দুল মোতালেব, সুরুজ মিয়া বলেন, ৫ বছর ধরে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার আমরা। এর শেষ কোথায় জানি না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই গত তিন বছরেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কার কাজ।
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, কাজের অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এটা পরিস্কার, তৃতীয় দফা সময়ের মধ্যে ওই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করতে পারবে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কতদিনের মধ্যে শেষ হবে ওই সড়কের সংস্কার কাজ তা তিনি বলতে পারেননি।