তিতাসে সিএনজি স্টেশনগুলোতে চাকা ঘুরলেই দিতে হয় চাঁদা

হালিম সৈকত,কুমিল্লাঃ চাকা ঘুরলেই দিতে হয় চাঁদা।তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি, বাতাকান্দি, মাছিমপুর, আসমানিয়া, রায়পুর, গৌরীপুর বাজারসহ আশেপাশের একাধিক সিএনজি স্টেশনগুলোতে চলছে অবিরত চাঁদাবাজি। সিএনজি, অটো রিকশা ও সাধারণ রিকশা থেকে স্ট্যান্ড ও বিভিন্ন এলাকার সংযোগ রাস্তার মোড়গুলো থেকে মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে নামে বেনামে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই সব লুটেরা বাহিনী প্রভাবশালী হওয়ায় বন্ধ করা যাচ্ছে না চাঁদাবাজি। আর এ সবই করছে প্রশাসনের নাকের ঢগায়। যেখানে হোমনা তিতাসের সংসদ সদস্য এই বিষয়ে কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বন্ধ করেছিলেন এইসব চাঁদবাজি। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও চলছে টোকেন বাণিজ্য। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, জাতীয় শ্রমিকলীগ তিতাস উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক গাজী মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, এটা একটা চক্রান্ত। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একদল সুবিধাবাদী কাউয়া এসব করছে। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে জনস্বার্থে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছিলাম তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট । কিন্তু অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু ফেইসবুকসহ নানা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে কাল্পনিক কল্প কাহিনী লিখে শ্রমিকলীগের নামে মিথ্যাচার করছে কিছু চাঁদাবাজ। মনগড়া তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এসব অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং সেই সাথে চাঁদাবাজদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানাই। বিষয়টি নিয়ে হোমনা তিতাসের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী ও তিতাস উপজেলা পরিষদের দুই দুই বারের সফল চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন সরকার জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ জনগণের কষ্টের লাগব করবেন বলে আমার বিশ্বাস। চাঁদাবাজির এইসব টাকা কোথায় যায়? তা নিয়ে সাধারণ সিএনজি ড্রাইভারদের প্রশ্ন? ব্যাংক একাউন্টে জমার নামে নেতাদের পকেটে ভারী হচ্ছে। তদুপুরি ঈদ কিংবা কোন পূজা পার্বণে বিনা কারণে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব দেখার যেন কউ নেই? টোকেনের নামে এই সব চাঁদাবাজি আজো বন্ধ হবে কি না জনমনে প্রশ্ন?