তাহিরপুরে সংবাদ প্রতিনিধিকে নির্যাতন ; ১০দিনেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান চার আসামী

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীতে প্রশাসনের নিশেদ থাকা শর্তেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী বালু পাথর সিন্ডিকেট কর্তৃক অবৈধভাবে জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে ও নদীর পাড়ে কোয়ারী তৈরীকরে বালু পাথর উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকার জাদুকাটা নদীর পাড় গিয়ে ছবি তোলার সময় দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি ও তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক কামাল হােসেনের ওপর নির্যাতনকারী প্রধান চার আসামী গত ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি তাহিরপুর থানা পুলিশ। ঘটনার পর প্রথম দিকে আন্দােলন ও চাপের মুখে সন্দেহজনক চারজনসহ এজাহারভুক্ত এক আসামী গ্রেফতার হলেও মুল অভিযুক্ত চারজন আসামি বালু খেকো সিন্ডিকেট প্রধন মোশাহিদ, মনির উদ্দিন মেম্বার, মাহমুদ আলী শা ও দীন ইসলামকে এখনাে গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। তবে পুলিশ বলছে, আসামীরা পলাতক ও অভিযান অব্যাহত আছে। তবে সাংবাদিক কামাল হোসেন এখনো সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বালু খেকো সিন্ডিকেট চক্রের সন্ত্রাসী বাহিনীর দায়ের কুপের আঘাত চোখের উপরিভাগে মাথায় ও মুখে ও চোখে রডের এলোপাতাড়ি আঘাতে বর্তমানে তিনি চোখের সমস্যায়ও ভুগছেন। 
 উল্লেখ্য : গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদের তাহিরপুর প্রতিনিধি যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে বালুখেকো চক্র তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে নদীর পাড় থেকে টেনে হিছড়ে ঘাগটিয়া বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। বিকালে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এখনাে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে চারজন ও এজাহারনামীয় আরাে একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ভােররাতে সন্দেহজনক চারজানকে আটক করে পুলিশ। এর পরদিন রইস উদ্দিন নামের এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অধরা রয়েছে মাহমুদ আলী শাহ, দীন ইসলাম, মুশাহিদ তালুকদার ও বহিস্কৃত মেম্বার মনির উদ্দিন৷ উল্লেখিত এই চারজন গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষােভ বিরাজ করছে।