তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বীকৃতি পেতে হলে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিতে পরিবর্তন আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসূচিতে কোনো কোনো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে তা নিয়ে আলাপচারিতায় ব্লিঙ্কেন বলেন, তারা আফগানিস্তানে অর্থ সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করছেন। যদিও তালেবানকে এসব অর্থ লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকা থেকে তালেবানের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নাম সরানোর পর আন্তর্জাতিক মহলের সম্মতি নিয়েই তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা দখলের সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো স্বীকৃতি মেলেনি তালেবানের। তবে তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তালেবানের এক মুখপাত্র। তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলই বেশি চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

তালেবানের মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানী জানান, তালেবানের স্বীকৃতির তাদের দরকার নেই, বরং আন্তর্জাতিক মহলের দরকার।

ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানী এ সময় হুমকি দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসলামী আমিরাতকে স্বীকৃতি না দিলে তাদের বিরূপ পরিস্থিরির মুখোমুখি হতে হবে।

তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বীকৃতি বর্তমানে আফগানিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়ছে লাখ লাখ আফগান জনগণের ওপর।

আফগানিস্তানে বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে, নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং দেশটিতে আর্থিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আফগান জনগণের ধারণা তালেবানের স্বীকৃতি ইতিবাচত পরিবর্তন আনবে এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যাবে।