তালায় ফেন্সিডিল ব্যাবসাহি ও মার্ডার মামলার আসামীরা যুবদলের আহবায়ক কমিটির প্রার্থীখান

নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরাঃ  তালায় চিহ্নিত ফেন্সিডিল ব্যাবসাহি ও মার্ডার মামলার আসামীরা যুবদলের আহবায়ক কমিটির প্রার্থী হিসেবে নিজেকে জাহিল করছে। এতে রাজনৈতিক মামলা হামলায় নির্যাতিত একাধিক দলের ত্যাগী নেতারা হতাশ বনে গেছে। খোজ নিয়ে জানাযায়, তালা উপজেলার সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মির্জা আতিয়ার রহমান ও তার সহচর সরদার কামরুল ইসলাম কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে ব্যাগভর্তি ৩৩ বোতল ফেন্সিডিল সহ কলিস্টরল মোড় এলাকায় থেকে হাতে নাতে আটক করে । পরে কলারোয়া থানা পুলিশ তাদের জেলহাজতে প্রেরন করেন। জানাযায়,  তৎকালীন বিএনপি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন কলারোয়া বর্ডার হতে একব্যাগ ভর্তি ৩৩ বোতল  ফেন্সিডিল সহ মটর সাইকেল যোগে মির্জা আতিয়ার ও সরদার কামরুল তালার উদ্দেশ্যে রওনার পথিমধ্যে কলারোয়া থানা পুলিশ কলিস্টরল মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করে। এতে মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র  মির্জা আতিয়ার রহমান ও বারইহাটি গ্রামের আফসার সরদারের পুত্র সরদার কামরুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরন করে  কলারোয়া থানা পুলিশ। এদিকে পাটকেলঘাটা পাচরাস্তা মোড় নামক স্থানে তালা উপজেলা বিএনপির প্রায়ত সভাপতি এবিএম আলতাফ হোসেন কে বোমা বিস্ফোরণে হত্যা মামলার চার্জসিট ভুক্ত আসামি শেখ মোস্তফা হোসেন (মন্টু) ও আসতে চাই যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্বে । এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে তুমুল আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা বলেন মাদক ব্যাবসাহি ও সন্ত্রাসের হাতে যদি যুবদলের আহবায়ক কমিটি দল অর্পণ করে তাহলে এই এলাকায় বিএনপির অবস্থান বিনষ্ট  হয়ে যাবে।  এ ঘটনার বিষয় সাবেক তালা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও বর্তমান সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মির্জা আতিয়ার রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বলার নেই বলে জানান।                      
এ বিষয় সদ্য সাবেক তালা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদ বলেন, আমি আতিয়ার ভাইয়ের কমিটির সহ সভাপতি ছিলাম তৎকালীন ২০০৫ সালের আনুমানিক জুন মাসে কলারোয়া থানার বক্সির মাধ্যমে জানতে পারলাম ৩৩ বোতল ফেন্সিডিল সহ আতিয়ার ভাই ও কামরুল আটক হয়েছে।  তালা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আজিজুর রহমান বলেন, ফেন্সিডিল সহ আটক হয়ে দল থেকে বহিষ্কারের পরেও বর্তমান তালা পুরাতন থানার মোড়ের পাশে এখনও মাদক ব্যাবসা ও সেবন কার্যক্রম চালাচ্ছে। আপনারা খোজনিলে জানতে পারবেন। তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল বলেন,  কলারোয়া থানায় ফেন্সিডিল সহ আটকের বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতা আমাকে জানায় আমি আমার সভাপতিকে জানালে মির্জা আতিয়ার রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।  সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলুর কাছে তালা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির বিষয় জানতে চাইলে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাদক ও মার্ডার মামলায় যুবদলের গঠনতন্ত্র ৫ম অনুচ্ছেদ এর (খ)ধারা অনুযায়ী  প্রমানিত হলে যুবদলে থাকার কোন সুযোগ নেই বলে আমি জানি।      সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ  ইফতেখার আলী বলেন, এ ধরনের প্রমাণিত বিষয় কোনক্রমেই থাকা উচিৎ নয়।