তানোরে কৃষকের মূত্যুর দায় নিবে কে ?

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকুপ অপারেটরের দায়িত্ব অবহেলায় বাবুল আক্তার নামে এক কৃষকের মর্মান্তিক মূত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ২৯ জুলাই সোমবার তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ দমদমা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকালে গাগরন্দ দমদমা গ্রামের চান মোহাম্মদের পুত্র বাবুল আক্তার (৩৮) জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য অপারেটরকে না জানিয়ে গভীর নলকুপের ঘরে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মুত্যুর মূখে ঢলে পড়ে। চাঁন্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ মৌজায় অবস্থিাত
বিএমডিএর ওই গভীর নলকুপ পরিচালনা করেন (অপারেটর) একই গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র আইয়ুব আলী এদিকে বাবুলের মূত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, এটি আসলে নিছক দুর্ঘটনা না হত্যা কৃষক বাবুলের মূত্যুর দায় নিবে কে ? কেউ কেউ বলছে, বিএমডিএ বা গভীর নলকুপ অপারেটর একটু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে তো এমন মর্মান্তিক ঘটনা দেখতে হতো না, আবার কেউ বলছে, যেহুতু গভীর নলকুপের সেচ চার্জ গ্রহণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষন বিএমডিএ দেখভাল করে তাহলে তো তারাও দায় এড়াতে পারে না ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন উঠেছে। স্থাানীয়রা কৃষক বাবুলের মূত্যুর জন্য অপারেটরকে দায়ী করে তার দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অপারেটরকে লাইন মেরামত করার কথা বলা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন শুধু তাই নয় তিনি ঠিকমত দায়িত্বপালন করেন না তাই কৃষকদের বাধ্য হয়ে নিজ দায়িত্বে সেচের পানি নিতে হয়, আর বাবুল নিজ দায়িত্বে পানি নিতে গিয়ে মারা গেছে তাই এর দায় অপারেটরের। অন্যদিকে একটি প্রভাবশালী মহলের কারণে বাবুলের স্বজনরা কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না বলে এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনা রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, ওই গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক সংযোগ ক্রটিপূর্ণ ছিলো পানি সেচ দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যে বৃণবরা বৈদ্যুতিক শকের স্বীকার হতো। তারা বিষয়টি অপারেটরকে ও বিএমডিএ অফিসকেও জানিয়ে ছিলেন কিšত্ত কেউ তা মেরামত করায় দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাায় চলে আসছে, ফলে ঝুঁকি আছে জেনেও কৃষকরা বাধ্য হয়েই এভাবে সেচ দিয়ে আসছে। বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বাবুলের মূত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই আব্দুল হামিদ বলেন, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন,বিদ্যুতের তারে শক লেগেই মূতুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, থানায় কেউ কোনো অভিযোগ না করায় তাদের করনীয় কিছু নাই। তিনি আরো বলেন,বিদ্যুতের শক, সাপের কামড় ও পানিতে ডুবে মারা গেলে এসব বিষয় স্থাানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজ জিম্মায় দাফনের অনুমতি দিতে পারেন। এব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন,এবিষয়ে তাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এব্যাপারে অপারেটর আইয়ুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।