ঢাকায় ফিরলেই সাকিব ইস্যু নিয়ে বসবে বিসিবি

এই আমার দেশঃ

ভাটির টান লেগেছিল ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগে বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যাচ-সেরা হয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গত ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি বহুল আকাঙ্ক্ষিত আইপিএল নিলামে দল পাননি বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। বিপিএলে ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্সের পর দুই দফা নিলামে নাম তোলা হলেও অবিক্রীত ছিলেন সাকিব।

তারপরই মূলত ছন্দপতন। বিপিএলে শেষ দুই ম্যাচে ৮ রান ও ১ উইকেট নেন। তারপর আফগানিস্তান সিরিজে সাকিব যেন নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন। তিন ওয়ানডেতে ৬০ রান, ৫ উইকেট এবং দুই টি-২০ তে ১৪ রান ও ২ উইকেট নেন তিনি। এর মধ্যে অনেক জল ঘোলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট, ওয়ানডে খেলতে রাজি হয়েছিলেন। দল ঘোষণা করা হয় তাকে নিয়ে। কিন্তু সিরিজ শেষ হতেই বিস্বাদ যেন চরমে উঠলো। দুবাই যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানালেন, বর্তমানের শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলা সম্ভব নয়। অন্তত ওয়ানডে সিরিজে বিরতি চান তিনি।

বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের মন্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। হতবাক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিতিবিরক্ত জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট সবাই। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। কারণ, গত কয়েক বছরে প্রায় প্রতিটি সিরিজেই সাকিবের খেলা, না খেলা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বিসিবিকে। একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, যা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বোর্ড কর্তারা।

দেশের হয়ে খেলতে বিসিবিও তাকে জোর করছে না। অনিচ্ছা থাকলে আগেই জানাতে বলেছে বিসিবি। কিন্তু সাকিবের সিদ্ধান্ত আসছে সিরিজ যখন সন্নিকটে। সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহে চটে গেছে ক্রিকেট প্রশাসন। এর স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে যাকে নিয়ে এত আলোচনা, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, সেই সাকিব এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। ক্রিকেট উপভোগ না করলেও দুবাইয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।

এদিকে, আগামী ১১ মার্চ বাংলাদেশ ওয়ানডে দল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেবে। পরদিন দেশ ছাড়বে টেস্ট দল। কিন্তু এখনো ঠিক হয়নি তামিম-মুশফিকদের সঙ্গে সাকিবও বিমানে চড়বেন কি না।

আইপিএলে সুযোগ না পেয়ে ক্রিকেটে মনোযোগ হারিয়েছেন সাকিব। এমনটা ধারণা করছেন সাকিবের ছেলেবেলার গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। তার মতে, বিশ্বসেরা ফ্র্যাঞ্চাইজ টুর্নামেন্টে দল না পাওয়ায় হতাশায় পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফাহিমের চোখে, বিপিএলের পর আফগান সিরিজেই ছন্দহীন মনে হয়েছে সাকিবকে।