ঠাকুরগাঁওয়ে সহকারী দলিল লেখকের এলাহী কান্ড

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃচাকুরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বেকারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। অভিযোগে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামের মৃত দীনেশ চন্দ্র বর্মনের পুত্র ভুল্লি রেজিস্ট্রী অফিসের সহকারী দলিল লেখক জগন্নাথ বর্মন দীর্ঘদিন ধরে বেকার যুবক-যুবতীদের ফুসলিয়ে সরকারি চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বলেন, জগন্নাথ বর্মন আমাকে এবং আমার অভিভাবককে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার এক ঘনিষ্ট বন্ধু বড় পদে চাকুরী করেন।অনেককে তিনি চাকুরী দিয়েছেন বলে জানান। শিক্ষিত ছেলের বেকারত্ব দুর করতে সোনার হরিণ সরকারি চাকুরী পাওয়ার লোভে প্রতারক জগন্নাথকে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছেন। তবে কন্ট্রাক হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। চাকুরী হওয়ার সাথে সাথে বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।

চাকুরীটা ছিল ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধিনে। পদ ছিল অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর। যেদিন নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বের হয় সে তালিকায় তার নাম বাদ পড়ে যায়। প্রতারকের ধারনা ছিল ‘ঝড়ে বক মরবে-আর ফকিরের কেরামতি বাড়বে।রেজাল্টের পর
থেকে টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতারক জগন্নাথ বলেন টাকাটা সচিবালয়ে খরচ করেছি।

যেহেতু চাকুরী হয়নি সেহেতু টাকাটা ফেরত দিব। তবে কোন দিন দিব তা নিদৃষ্ট বলতে পারব না। এভাবে পার্শ্ববর্তী আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের শিকটীহারী গ্রামের মতিলাল এর কন্যা
মানষী রাণীর কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা এবং রাধানগর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের অভিনাশের স্ত্রী মুক্তা রাণীকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক জগন্নাথ। এই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে। এ প্রতারকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।