টাঙ্গাইলে জনকল্যাণের জমি আত্মসাতের অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় জনকল্যাণে ওয়াকফকৃত জমি (সম্পত্তি) ও এর আয় আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মোতায়াল্লী আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর এ বিষয়ে মোতায়াল্লী আবুল কাশেম টাঙ্গাইল জেলা ওয়াকফ পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা) এর মাধ্যমে ঢাকা ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, “মুক্তিযুদ্ধেরও পূর্বে ১৯২৩ সালে ঘাটাইলের ছয়ানী বকশিয়া মৌজায় ৬ একর ৮৬ শতাংশ জমি হাজী নিয়ামত উল্ল্যা সরকার জনকল্যাণের জন্য ওয়াকফ করে দেন এবং সেখান থেকে মাত্র ২ একর ১৮ শতাংশ জমি তৎকালীন আইনানুযায়ী প্রজাবিলি করা হয়। এছাড়াও আরও বাকী ৪ একর ৬৮ শতাংশ জমি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ওয়াকফ এস্টেট আইনে একটি দলিল সম্পাদনা করা হয়েছিল।”

সম্পাদনকৃত দলিলে মোতায়াল্লী (পরিচালনাকারী) দায়দায়িত্ব, ক্ষমতা, অধিকার, মোতায়াল্লী নিযুক্ত, মোতায়াল্লী থেকে অব্যাহতি সুচারুভাবে উল্লেখ করাও হয়েছিল। হাজী নিয়ামত উল্ল্যা জীবিত থাকা অবস্থায় তার আবাদী জমি, পুকুর, মসজিদ, বৈঠকখানা ওয়াকফ দলিলের আওতায় উল্লেখ করেছিলেন।পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর পর্যায়ক্রমে বর্তমানে আব্দুল হালিম ও আবুল কাশেম দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আব্দুল হালিম অবৈধভাবে ৪ একর ৬৮ শতাংশে জমি থেকে কাউকে না জানিয়ে ৯৮ শতাংশ জমি তার মায়ের নামে রের্কড করে নিয়েছেন  যা সম্পূর্ণ বেইআইনি। এছাড়াও আব্দুল হালিম আবুল কাশেমকে অল্প জমির দায়িত্বে রেখে সম্পূর্ণ জমি বেদখল ও ওয়াকফ আইনকে অমান্য করে ভোগ দখল করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায় যে, “মসজিদ, পুকুর, বৈঠকখানা ভোগ দখল করে এলেও তা সঠিকভাবে পরিচালনা ও তদারকি করছেন না আব্দুল হালিম এবং সান বাধাঁনো পুকুর ঘাটটি ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে ইতোমধ্যেই। কিন্তু এসব বিষয়ে অতি শীঘ্রই সমাধান না হলে ওয়াকফ জমিকে কেন্দ্র করে আব্দুল হালিম ও আবুল কাশেম নামক দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।

বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ পরিদর্শক ও সদস্য সচিব ইউছুব আলী মোল্লা গত ২৩ শে ডিসেম্বর এই ওয়াকফকৃত সম্পত্তির তদারকি ও পরিদর্শনে এসেছিলেন। তার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ঘাটাইলের ওই সম্পত্তির বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে।”