ঝিনাইদহ শৈলকুপার মনোহরপুরে নৌকা প্রতীক বরাদ্দে এমপি আব্দুল হাই-এর কানামাছি খেলা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক বরাদ্দে স্থানীয় এমপি আব্দুল হাই কানামাছি খেলা করেছেন বলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে জোর আলোচনা সমালোচনা চলছে।

সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মোস্তফা আরিফ রেজা (মন্নু) বর্তমান ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক।

সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সুপারিশে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশন এবং জেলা সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু স্বাক্ষরিত তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

২ নং তালিকায় নাম ছিল শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মনোহরপুর ইউনিয়ন শাখার সদস্য মৃত হুজুর আলী ছেলে জাহিদুল ইসলামের।

ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। অবশেষে ঘটনা পরিক্রমায় আরিফ রেজা (মন্নু)র পরিবর্তে জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক পেয়ে গেছেন।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

যদিও এ বিষয়ে মোস্তফা আরিফ রেজা (মন্নু) একটি রিভিউ আবেদন করেছেন।

কিন্তু গোল বেধেছে অনত্র। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে ঘুরছে স্থানীয় এমপি আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত একটি ডিও লেটার যেখানে শুধুমাত্র জাহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিষয়টিকে নেতৃবৃন্দ তবে এমপি সাহেব স্থানীয় রেজুলেশনে একনাম লিখলেও কি গোপনে আবার ডিও লেটার দিয়েছেন নাকি সভানেত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারীরা কোন কিছু ঘটিয়েছেন।

অন্যদিকে, স্থানীয় একটি সুত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামে দলীয় নেতা হলেও একজন যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামী (মামলা নং- শৈল জি.আর ১৫৩/২১)।