ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির এক কর্মচারির বিরুদ্ধে ষাটবাড়িয়ার ৩৩২ জনের স্বাক্ষরিত অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ষাটবাড়িয়া গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী দাস সম্প্রদায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির উপর ফুঁসে উঠেছে। ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির ঐ কর্মচারির নাম ঝন্টু দাস। তিনিও ষাটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ১০ জন মাতব্বরের একজন।
ঝন্টু দাস,তার স্ত্রীর ভাইয়ের বউ রুমা রানী ও ছেলে অমল দাসের উপর চরম ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,ঝন্টু দাসের ছেলে অমল দাস পাড়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে কম বয়সী গৃহবধূদের ইভটিজিং সহ উত্যক্ত করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এই বিষয়ে বাবা ঝন্টু দাসকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ দিলেও ছেলেকে বারণ করেনি ঝন্টু দাস।

কয়েকদিন আগে পাড়া বাসিন্দা শিতল দাসের স্ত্রী ঋতু রানীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক করে তাকে অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ি জমায় অমল দাস। শিতল-ঋতুর সংসারে ১৩ ও ২ বছর বয়সের দুটি মেয়ে রয়েছে।

শিতল দাসের অভিযোগ তার ২ বছর বয়সী মেয়ে বনিকে সাথে নিয়ে পালিয়েছে ঋতু রানী।এই বিষয়ে অমলের বাবা ঝন্টু দাসের কাছে অভিযোগ দিলেও সে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং ছেলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে অমল ও ঋতু রানীকে গ্রামে নিয়ে এসে বসবাসের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে শিতল সহ গ্রামবাসীরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার ঝিনাইদহ পৌর এলাকার চাকলাপাড়ায় বসবাসকারী রুমা রানী ও ঝন্টু মিলে ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে শিতলের পরিবারে হামলা করে শিতল সহ তার মাকে পিটিয়ে আহত করে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, রুমা রানী এর আগেও এই গ্রামে বিভিন্ন অশান্ত সৃষ্টি করে আসছে। মাদকের টোপে পুলিশ দিয়ে হয়রানি,মধু চক্র সহ নানা কাজে সে এই এলাকায় দন্দ্ব সৃষ্টি করে আসছে।
মঙ্গলবার রাতে ষাটবাড়িয়া গ্রামের কালীমন্দিরে যগেন স্মৃতি যুব ক্লাবের উদ্যোগে এক শালিস বসে। এই শালিসে গ্রামের ১০ মাতব্বরের ৯ জন সহ প্রায় ৪শ জন গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।এই শালিসে আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়দার আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দস আলী। শালিসে উপস্থিত স্বাক্ষর গ্রহণ করে ঝন্টু দাস,তার ছেলে অমল ও রুমা রানীকে অবাি ত ঘোষণা করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ঝন্টু দাসের বিপক্ষে স্মারক লিপি প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঝন্টু দাস ও রুমা রানী মিলিত হয়ে ষাটবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন লোকের নামে থানায় মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। মিথ্যা হয়রানি করার দায়ে ঝন্টু দাস ও রুমা রানির বিচার দাবি করেছে তারা। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ৩৩২ জন স্বাক্ষর করে এক অভিযোগ পত্র লিখেছে গ্রামবাসীরা।