ঝিনাইদহে সিন্ডিকেট গঠন করে ওষুধের গলাকাটা মুল্য আদায় নির্বিকার প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে সিন্ডিকেট গঠন করে এমআরপি মুল্যে ওষুধ বিক্রি করায় বিপাকে পড়েছে রোগীরা। আগে ৫/১০ পার্সেন্ট মুল্য ছাড়ে রোগীরা ওষুধ কিনতে পারলেও কেমিষ্ট ও ড্রাগিষ্ট সমিতির বেধে দেওয়া নিয়মে ওষুধ বিক্রি করতে ওষুধের ফার্মেসিগুলোকে বাধ্য করা হচ্ছে। এ নিয়ে সারা শহর জুড়ে ক্ষোভ আর অসন্তোষ ধুমায়িত হচ্ছে। এদিকে বুধবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত এ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। সেই অভিযান চলঅকালে মেয়োদোত্তীর্ণ ঔষধ ৬ মাস বা এক বছর পর্যন্ত খেলে তা স্বাস্থের জন্য কোন ক্ষতি করেনা বলে মন্তব্য করেন। ঝিনাইদহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: নাজমুল হাসান। এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, কোন ক্রমেই মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খাওয়া যাবেনা। মেয়াদ শেষ হলে ঔষধ যে উপাদান দিয়ে তৈরি হয় তার গুনগতমান নষ্ট হয়ে যায়। যা খেলে মানবস্বাস্থের জন্য মারাতœক ক্ষতির কারন হতে। তবে সহকারী পরিচালক নাজমুল বলেছেন তিনি এমন কোন কথা বলেন নি। ফেসবুকে যে বক্তব্য এসেছে তা অসম্পুর্ন। পরো বক্তব্য আসলে বিতর্কের অবসান ঘটতো। জানা যায়, প্রায় এক মাস যাবৎ জেলা শহরের বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসীতে পূর্বের ৫% বা ৭% কমিশনে ঔষধ বিক্রি বন্ধ করে দেয় বিক্রেতারা। পরে তারা কোম্পানীর এমআরপি রেটে বিক্রি শুরু করে যা কিনতে গিয়ে অনেকটা নাভিশ্বাস ওঠে ক্রেতাদের মধ্যে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার শহরের মাসুদ ফার্মা, তাজমহল, আক্তার, পান্না, নিউ সালেহা, সিদ্দিক, আলহেরাসহ প্রায় ১৫ টি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাসুদ ফার্মা, তাজমহল ও আক্তার ফার্মেসীতে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল, জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ইরফানুল হক জানান, সরকারী নির্দেশনা না থাকলেও ফার্মেসীতে কমিশন বাদে এমআরপি রেটে ঔষধ বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় শহরের মাসুদ ফার্মাকে ২ হাজার, আক্তার ফার্মেসীকে ৫ হাজার ও তাজমহল ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়। সেসময় বাকিদেরকে সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতে যেন এমন অনিয়ম না করা হয় সাধারন মানুষ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন এমন ইচ্ছামত বিক্রেতারা ঔষুধ বিক্রি করে আসছে কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কোন তদারকি করেনা। ঢাকাসহ পাশ্ববর্তি বিভিন্ন জেলায় ৫%, ৭ %, ১০ % হারে ্ওষূধ বিক্রি হচ্ছে কিন্তু ঝিনাইদহে এর ব্যতিক্রম। সরকারের উচিত উপর মহল থেকে এর তদারকি করা এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা। অভিযোগ উঠেছে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বসে বসে বেতন নেন। তারা কোন মিটিং করেন না।