ঝিনাইদহে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে কমিটির অভিনব কৌশল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের মধ্য দিয়ে ৫টি পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলে অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ। জানাগেছে,বিদ্যালয়ে বুধবার(১৬ জুন) ৫টি পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সহকারী প্রধান শিক্ষক ১জন,ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ২ জন,আয়া ১ জন ও পিয়ন পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একজন প্রার্থী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীদের এডমিট কার্ড মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানো হয়েছে বিদ্যালয়ের পিয়ন তিতাশকে দিয়ে। জানাগেছে,৫টি পদে প্রায় ২০ জন প্রার্থী আবেদন করেছে। এর আগে দৈনিক নবচিত্র ও যায়যায়দিন পত্রিকায় এই নিয়োগ পত্রের বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামকে ০১৭৩১৮৩২২১৬ মোবাইল নাম্বারে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। সভাপতি অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিল্টনকে ফোন দিলে তার ছেলে রিসিভ করে বলে তারা বাবা ঘুমাচ্ছে। পরীক্ষার মাত্র একদিন আগে কেন প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে জানতে একাধীক প্রার্থী প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামের ফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।তিনি কোথায় আছেন এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি বিদ্যালয়ের অন্য কোন শিক্ষক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার(তসলিমা খাতুন) জানান,এক দিন আগে প্রবেশপত্র কেন দেবে? নিয়োগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক কেন তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কাজ আমরা করবো না। এদিকে প্রার্থীদের যে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে সেটা কারোর স্বাক্ষর নেই। কত তারিখে প্রবেশপত্র কোন স্মারকে ইস্যু করা হয়েছে সেটারও কোন উল্লেখ নেই।একটি সাদা কাগজে পদের নাম ও প্রার্থীর নাম ঠিকানা লিখে পাঠানো হয়েছে বিদ্যালয়ের পিয়ন দিয়ে। পিয়ন তিতাশ প্রার্থীর কোন স্বাক্ষর গ্রহণও করেন নি।এই সমস্ত কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২ জন প্রার্থী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাদের মনোনিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই এই কর্মকাণ্ড করেছেন।