জয়পুরহাটে বোনকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় ভাইকে হত্যা

এস কে মুকুল, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে ছোট বোনকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় বড় ভাই মঈনুল ইসলামকে (২০) হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিবেশী হাকিম হোসেন (২৫) নামের এক যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় মঈনুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) অভিযুক্ত হাকিম হোসেনকে পাঁচবিবি উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হাকিম হোসেন একই গ্রামের মো. মোস্তাফার ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত মঈনুল ইসলামের ছোট বোন সাগিরা আক্তারকে (১৬) প্রতিবেশী হাকিম হোসেন উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সাগিরা আক্তারের বড় ভাই মঈনুলসহ পরিবারের লোকজন হাকিমকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু হাকিম তাদের কোনো কথায় পাত্তা দিচ্ছিলেন না।

গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাগিরা তার মায়ের কাছে ২০ টাকা চান। তখন হাকিম এ কথা শুনে সাগিরাকে লক্ষ্য করে ১০০ টাকার নোট ছুড়ে দেন। সাগিরা হাকিমের দেওয়া ১০০ টাকা নেননি। তখন মঈনুল হাকিমকে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাকিম তার ঘর থেকে ধারালো হাঁসুয়া এনে মঈনুল, তার ভাই রমজান, মা ময়নাসহ পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করেন।

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মঈনুল ইসলামসহ আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে মঈনুল ও আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মঈনুল মারা যান।

চকবরকত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুলতান মাহমুদ বলেন, সোমবার জয়পুরহাট থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় আহত মঈনুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর হাকিম হোসেন পালিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে তাকে পাঁচবিবি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, এ ঘটনায় হাকিমসহ পাঁচজনকে আসামি করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। এ মামলার মূল আসামি হাকিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।